আমেরিকার কাল্লু সম্প্রদায়



আগেই বলে রাখি, এই পোস্টটা আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বায়াসড। সুতরাং সত্যিকারের বাস্তব অবস্থা থেকে আমার পর্যবেক্ষন অনেক ভিন্ন হতে পারে।


শোনা কথা। কাল্লুদের আমেরিকানরা ধরে এনেছিল ক্ষেত খামারের কাজ করার জন্য। তারপর তাদের মুক্তি দেয়া হয় একসময়। তারপর থেকে তারা আমেরিকার বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়লেও, তাদের বড় একাংশ এখনও দরিদ্র। ছোটখাট চৌর্য্যবৃত্তি থেকে শুরু করে বড় ধরনের অপরাধের সঙ্গেও তারা জড়িত। পড়ালেখা একদম করতে চায়না, ভীষন ধর্ম ভীরু, আর দুশবছর আগের সেই দাসত¡ প্রথার প্রতিশোধ তারা এখনও নিচ্ছে। সেদিনও খবরে দেখলাম টেক্সাসে এক কাল্লু নেতা এতদিন বলে এসেছে সাদা-কালো ভেদাভেদে স্কুল করা যাবে না। এখন বলছে কালোদের জন্য আলাদা স্কুল করতে হবে। এইরকম কন্ট্রাডিকটরী কথা বার্তা বলে কাল্লুরাই পার পায়।

গতকাল একটা পুরোনো গাড়ি কিনতে এক কাল্লুর সাথে যোগাযোগ করতে হল। আমরা গাড়ি দেখতে গেলে ১০ মিনিটের মাথায় গাড়ি ঠিক মতো দেখতে না দিয়েই চলে গেল। তারপর ফোনে দামাদামী। সে যা চাইছিল তার থেকে একচুল নড়বে না। আমি বললাম দেখ তোমাকে দেখে ভালই মনে হয়েছে...। সে বলে, "wait a minute, you don't know me. So don't say that. Come straight down to the deal."। শেষে দামাদামী করে বললাম আমি গাড়ির একটা দোকানে নিয়ে কিছু টেস্ট করে দেখব। সে তখন রাজি। কিন্তু যখন বিকেলে গেলাম তখন সে চ্যাঁ চ্যাঁ শুরু করল। প্রথমে বলে ক্যাশ নিয়ে আসছ? আমি বললাম, আমি প্রথমে গাড়ি টেস্ট করব। তারপর সব ঠিক হলে আংশিক টাকা দিয়ে যাব। সোমবার বাকি টাকা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাব। তখন বলে, 'আমি এখন আসতে পারব না। তোমাকে আমি গাড়ি দিতে পারব না এখন। আর আমি গাড়ি টেস্টের ব্যাপারে আগে শুনি নাই ....'

মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল। শালারা দুশো বছরেও মানুষ হয় নাই আর মানুষ হবে কবে?

(প্রথম প্রকাশ: সামহোয়্যারইন ব্লগ ২০০৬-০৭-১৬ ১৭:১৮:০৩)




  • হযবরল বলেছেন :
    ২০০৬-০৭-১৭ ০০:০৭:০০

    আসলে হয়েছে কি ওরা দাস হিসেবে কয়েকশো বছর থেকে এত বেশী শোষিত হয়েছে, যে ওরা এখন ও আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভোগে। ওদের পোষাক, কথা র্বাতা সব কিছুর মধ্য দিয়ে ওদের সেই ক্রাইসিস স্পষ্ট। ওরা খালি ওদের আইডেন্টিটি, আছে দেখাতে গিয়ে সবার কাছ থেকে আলাদা হওয়ার জন্য বিচিত্র কালারের কাপড়, কথা, গান এসব করছে। অশিক্ষা, অনাচার সব একই ধারাবাহিকতায় চলছে। এটা আসলেই দুঃখজনক পুরো একটা জাতি আত্মপরিচয় বিস্মৃত হয়ে কোন অবস্থায় যেতে পারে।
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৭-১৭ ০০:০৭:২০

    আইডেন্টিটি ক্রাইসিস! যদি আমেরিকাতে থাকি আর আমাদের পোলাপান আমেরিকাতে বড় হয় তাহলে তারাও তো আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগবে। আমেরিকান র্বন কনফিউসড দেশী (এবিসিডি) কথাটাতো এমনি আসেনি। কিন্তু তাদের ব্যবহার কি এমনই হবে? ইনফেক্ট কিছুটা ওইরকম ক্রাইসিসে তো আমিও ভুগি - আমাকে যখন ইন্ডিয়ান হিসেবে আইডেন্টিফাই করে। আমি কি ব্যবহার খারাপ করি?

    কি জানি?
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৭-১৭ ০০:০৭:১০

    তোমাদের কথা ঠিক।



    তবে ভালো ও আছে। তবে আমি এটা বুঝি না, নিজের ভালো নাকি পাগলে ও বুঝে। যেখানে শিক্ষার এতো সুযোগ আছে, ওরা কেন স্কুল কমপ্লিট করে না বুঝি না।



    অধিকাং গরীব, দিন আনে দিন খায়, ব্যাংক লোন আর ক্রেডিট কার্ড লোন এ জর্জিরত।
  • হযবরল বলেছেন :
    ২০০৬-০৭-১৭ ০০:০৭:০৩

    ওদের টা অনেক বড় ক্রাইসিস মনে রাখতে হবে। আমরা এখানে এসেছি ভিসা নিয়ে সম্মানের সাথে। ওদেরকে হাত পিছ মোড়া করে বেঁধে, জাহাজের খোলে করে নিয়ে আসতো। ওদের অনেক ফ্যামিলি আছে যারা চার-পাঁচ পুরুষ ধরে এই করুণ কাহিনী এক প্রজন্ম আরেক প্রজন্ম কে বলে যায় । ইহুদীদের মত ওদেরও রেসিয়াল মেমোরীতে এখন শুধু নীপিড়ন এর স্মৃতি। তুমি আলেক্স হেলির বইটা পড়ে দেখো পারলে।

    সে তুলনায় আমরা কি অত বড় মাপের স্যাক্রিফাইস করে কি আসি এই দেশে? না।
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৭-১৭ ০০:০৭:১৬

    ভাল কাল্লু আমি দেখেছি। শিক্ষিত, আমাদের মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ। কিন্তু সেও যখন আমাদের কাছে এসে রেসিজমের গল্প করে তখন অবাক হই। একটা গল্প সে প্রায়ই করে যে, সে কিভাবে একবার ভুল বুঝেছিল যে তাকে ছোট করছে একটা বাচ্চা মেয়ে।

    আলেক্স হ্যালির বই পড়িনি। দেখি খুঁজে পাই কিনা।

  • হযবরল বলেছেন :
    ২০০৬-০৭-১৭ ০০:০৭:২৬

    http://tinyurl.com/76ulu

    এটা নিয়ে একটা বিখা্যাত সিরিয়াল ও হয়েছিল নাম কুইনি। বিটিভিও দেখিয়েছিল।
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৭-১৭ ০১:০৭:৫৩

    হযবরল এর দেয়া সিরিয়ালটা এলেক্স হ্যালির 'রুটস' বই দ্্বারা অনুপ্রেনিত হয়েছে। সুযোগ পেলে অবশ্যই পড়বেন, আপনার ধারণা কিছুটা হলেও বদলাতে বাধ্য।

    রুটসে শুধু একটা অংশ পড়লেই যথেষ্ট। আফ্রিকা থেকে ওদের পূর্ব প্রজন্মকে কি ভাবে আনা হয়েছে।

    জাহাজের ডেকে, আলো বাতাসহীন বদ্ধ পরিবেশে, হাত পা শিকল দিয়ে বাধা অবস্থায়। পুরো দুই মাসের (টাইম স্প্যানটা মনে নেই ঠিক, ওরকমই) সময়ে কাপড় জামা ছাড়া থাকতে হয়েছে, কারণ কাপড় জামা ক্লিনিং প্রসেসটাকে জটিল করে। সপ্তাহ কয়েক পরে পরে ডেকে নিয়ে গিয়ে গায়ে সমুদ্রের জল ঢেলে দেয়া হত। ও, কারণে অকারণে চাবুক খেতে হত, তাই গায়ে দগদগে ঘায়ে লিটারেলি 'ছিল্লা কাইট্যা লবণ লাগানোর' মত কান্ড ছিল ওটা। তাছাড়া অন্ধকার ডেকে ইদুরের সাথে বসবাস করতে হত। খাবার দেয়া হত কয়েক দিন পর পর।



    আসল কথা হল, ওদের যখন ধরে আনা হয়েছে, ওদের 'মানুষ' ভাবা হয় নি ইন দি ফার্স্ট প্লেস। বিবর্তনবাদের সত্যতা প্রমান করার জন্য আফ্রিকার একটা প্রজাতির (নাম মনে নেই, খুব সম্ভবত 'বান্টু)একটা লোককে ধরে আনা হয়। খাচায় ভরে মানুষকে দেখানো হত বানরের সাথে চেহারার মিল।



    এই অমানবিক শোষিত আচরণের পরেও মার্টিন লুথার কিঙের মত নেতারা এসেছে, যাকে পুরো আমেরিকা মাথায় তুলে। ম্যালকম এক্স ওরফে মালেক শাহবাজের মত মানুষ পেয়েছে আমেরিকা। 'ওপরাহ' ও কাল্লু, নারী। তবে এত কালের দগদগে ঘা পুরোপুরি শুকোতে তো সময় লাগবে!
  • ঝরা পাতা বলেছেন :
    ২০০৬-০৭-১৭ ০২:০৭:২৪

    কাল্লুর কথা পাড়লেই আঙ্কেল টমের কথা মনে পড়ে যায়। তবে এখানে এসে মানে সুইডেনে এসে বুঝলাম এই কাল্লুগুলা কম বদ না। যত আকাম কুকাম আছে সব এরাই করে।
  • হযবরল বলেছেন :
    ২০০৬-০৭-১৭ ০২:০৭:৫০

    আস্তমেয়ে ঠিকই বলেছো , দুই মাসের ও বেশী সময় ধরে আনা হতো। আলেক্স হেলি নিজে জাহাজের খোল ভাড়া করে আফ্রিকা গিয়ে চেখে দেখে ছিলেন কি ভয়াবহ কষ্টকর অভিজ্ঞতা ।
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৭-১৭ ০৩:০৭:৫০

    এ ধরণের বহু ঘটনাই সাধারণ বাস্তব, যেমন সাদ্দুদের বেলায় তেমন কাল্লুদের বেলায়ও। (আপনার 'কাল্লু' বলার স্টাইলটা ভাল লাগেনি, তাই ব্যঙ্গটা আপনার জন্যই, সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকেপ্রাপ্ত গায়ের রঙ কালো হওয়া মানুষদের জন্য নয়)



    কোন জাতিই পারে না খুব সহসাই তাদের ঐতিহ্য বা জাতিগত স্বভাবটাকে ভুলে যেতে, তা যত নিকৃষ্টই হোক না কেন। যেমন, আমরা বাংলাদেশীরা এখনো আমাদের রক্ত থেকে অন্যের গোলামী করার হীনতাকে মুছতে পারিনি। পৃথিবীর আর সব জাতিকে আমাদের একটা বিরাট অংশ এখনো অজান্তেই যেন মেনে নিচ্ছে নিজেদের প্রভূ, বিশেষ করে প্রবাসে, কাজে-কর্মে, কথায়-আচরণে।



    আর অত্যাচারিত হলে সাদারা এর চেয়ে ঢের বেশী করতো; সন্দেহ নাই।
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৭-১৭ ০৭:০৭:৩৩

    মুর্শেদ বেশী চেইতা গেছেন গা । একটু শান্ত হন ।
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৭-১৭ ১০:০৭:৩৫

    কালোরাতো মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি দখল করে আছে -হিপহপ, র্যাপ।



    আমার মনে হয় জ্ঞান অর্জেন অনিহার কারনে ওদের মধ্যে এমন শুন্যতার সৃষ্টি হচ্ছে । পরিনাম কিন্তু ভাল হওয়ার কথা না । যেমন মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই শিক্ষিতের হার কম বলে সেখানে গোড়ামি সহজে ছড়িয়ে যেতে পারছে ।

  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৭-১৭ ১৩:০৭:২২

    মুর্শেদ,

    সাইকোলজির সম্প্রতি করা রিসার্চ থেকে দেখা যায় পৃথিবীর বিভিন্ন জাতির মধ্যে চিন্তা ভাবনা এবং মানসকিতার আসলেই বড় ধরনের ফারাক আছে।



    যেমন একজন পশ্চিমা মানুষ (যেমন, ব্রিটিশ) এবং একজন পূর্বের মানুষ (মনে কর, চীন) এদের সাইকোলজিক্যাল প্যাটার্ন আসলেই ভিন্ন। কখনো কখনো আমরা বলি, সব মানুষ সমান .. কথাটা অন্য অর্থে ঠিক হলেও, সব জায়গায় না।



    কালোদের এক ট্র্যাকে চিন্তা করার অভ্যাস আছে। যেটা করবে, সেই লাইনের বাইরে চিন্তা করতে পারে না। গোয়ার মার্কা একটা স্বভাব, একরোখা। যারা এডভানসড সাইকোলজি এবং ফেসিয়াল প্রোফাইল নিয়ে কাজ করে (এবং একই সাথে পামিস্ট্রি) তারাও বলতে পারবে যে কালোদের দৈহিক বৈশিষ্ট্য থেকেও এটা প্রতিফলিত হয়।



    তাই ওদের এই স্বভাবের সাথে দাস থাকা না থাকার সম্পর্ক কম। আফ্রিকার হাজার বছরের মুক্ত একটা কালো মানুষের ভিতরেও ঐ একই ধরনের সাইকোলজিক্যাল প্রোফাইল বা প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যাবে, যারা কস্মিনকালেও দাসত্ব করে নি।
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৭-১৭ ১৩:০৭:০৩

    আমার মনে হয় অভিজ্ঞতা খুব প্রধান একটা ফ্যাক্টার । মুডো যেমন হর্সপাওয়ার দিয়া সব জয় করতে চাইতো ।
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৭-১৭ ১৪:০৭:৪৭

    উহু, আমি সরাসরি অভিজ্ঞতা বলাকে ভুল বলবো।



    একজন বাংলাদেশী আর একজন ভারতীয় (বিশেষ করে দক্ষিন ভারতীয়ের) চেহারা খুব ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন, বাংলাদেশীদের চেহারা ভিতরে একটা কোমল ভাব আছে। এই ফিচারটা একজন দক্ষিন ভারতীয় মধ্যে নাই।



    এই দৈহিক ফিচারটা কিন্তু বাংলাদেশীদের কমন সাইকোলজিটাও প্রকাশ করে। সেটা হলো বাংলাদেশীরা মূলত ইমোশনাল। আমার পয়েন্টটা সেখানে ছিলো। মানুষের বিভিন্ন জাতির ভিতরে জন্মগত ভাবে কিছু ব্যাপার থাকে। বংশগত, জিন থেকে আসা হয়তো।



    একজন এভারেজ চীনাদের চেহারায় খুব সহজে ধরা যায় এরকম এক ধরনের কাঠিন্য থাকে। সেটা নিদের্শ করে চীনারা খুব পরিশ্রমী। এইরকম ব্যাপার আরকি।



    ফেইস রিডিং (অধিবিদ্যায় যাদের অরুচি আছে তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী) - এর দিক থেকেও ঘটনা সেরকমই।
  • হযবরল বলেছেন :
    ২০০৬-০৭-১৮ ২০:০৭:২৭

    সাদিক এখানে এখন আফ্রিকা থেকে যেসব কাজল কালো ইমিগ্র্যান্ট আসে, তাদের ব্যবহার , আচার , ডিসেন্সি, পারস্পরিক সমঝোতা সব মিলিয়ে অসাধারণ। সত্যি বলতে ইউরোপিয়ানদের চাইতে অনেক ক্ষেত্রে ভালো মনে হয়েছে আমার।

    রাশিয়ানরা গোঁয়ারের হদ্দ, এবং গেনজাইমা । সব কালো গোঁয়ার গোবিন্দ কথাটা মানতে পারলাম না।



    মানুষের ভাষা থেকে শুরু করে সব কিছুই র্নিধারন হয়, তার বাস করার আবহাওয়া এবং যাপিত জীবনের ইতিহাস থেকে। আর যাপিত জীবন মানে হাজার বছর ধরে সে অভ্যাস, যে আচার, যে জীবন ধারণ।



    দৈহিক গড়ন, মুখের গড়ন বা হাতের রেখা দিয়ে বংশগতির সূত্র মেলানো যায় । অনকে তথ্য উপাত্ত এক করে হাতের রেখার মিল থেকে ওদের মধ্যে মিল বের করা যায়। কিন্তু এভাবে মানস গঠন বের করা যায় না।



    নোয়াখালী অনচলে নোয়াখাইল্যা ভাষা আছে অন্তত চার রকম। নোয়াখালী আর চট্টগ্রামের লোকের শারিরীক ভাবে এক , কিন্তু মানস গঠনে বিশাল তফাৎ আছে । কেন ? তাদের আবহাওয়া, ভূ প্রকৃতির মধ্যে

    বিস্তর ব্যবধান ।



    জিউস এখন এত মায়া দয়া হীন কেন ? তাদের হাজার বছরের জীবন শিক্ষা।



    এখানে কালোরা নিজেদের

    আত্ম পরিচয় ফিরে পাবার জন্য নিজেদের বলে আফ্রিকান- আমেরিকান। কেন ? তিনশ বছর ধরে , পাঁচ প্রজন্ম ধরে থাকার পরও কেন আমেরিকান বলে না?



  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৭-১৮ ২০:০৭:৪৪

    ফজলে বলার স্টাইল রেসিজমের ইন্ডিকেশন না। কেউ কাল্লু বলুক বা কাউল্যা বলুক কিংবা আফ্রিকান আমেরিকান বলুক কি যায় আসে।



    আমি সাদাদের সাথে ডিল করেছি তেমনি কালোদের সাথেও করেছি। রীতিমত বিরক্ত হয়েই আমি এমনটা ভাবতে বাধ্য হয়েছি।



    সে ব্যাটা আমাকে বলে তুমি পড়াশুনা করে কি করবা? কেমন যেন একটা তাচ্ছিল্যের ভাব। আমি একা ছিলাম না সেখানে, আমার আরেক বন্ধু ছিল। সেও একই রকম ফিল করেছে।

  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৭-১৮ ২০:০৭:১৪

    সাদিকের যুক্তির চেয়ে আমার হযবরলে যুক্তি বেশী গ্রহন যোগ্য মনে হয়েছে।



    চাইনীজ নিয়ে যে কথাটা সাদিক বলেছে সেটার উদাহরন টেনেই দেখানো যায় এই ধারনাটা কতটা ভুল। চাইনীজরা বেশী খাটে কেননা তাদের দেশে এত প্রতিযোগীতা যে টিকে থাকতে হলে তাদের খাটতেই হয়। এখানে যে সমস্ত চাইনীজ বড় হয়েছে - অর্থাৎ চাইনীজ বাব মা কিন্তু আমেরিকাতে বেড়ে উঠেছে - তারা কিন্তু অতটা পরিশ্রমী না।

  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-১৯ ১০:১৫:১১

    আফ্রিকানরা গোয়ার আর তামিলদের চেয়ে বাঙালীর চেহাড়া কোমল এই অবজার্ভেশনগুলো কোন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারের - তার খোমা আর রিসার্চ পেপার একটু দেখা লাগবে - নইলে বোঝা যাইবে না সে আদৌ হোমিনিড গ্রোত্রভূক্ত কিনা!
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-১৯ ১০:১৯:৪৭

    ঠিক কইছো সাদিক ভাইটু, আসলে চামড়ার দোষ, কাল্লুগো চেতনার মইধ্যেই একটা গোয়ার্তুমি ভাব আছে, ওরা একটা ট্রাকেই ভাবে,

    চামড়া দিয়া সাইকোলজি মাপা যায়, হবেও বা মরমি গো ট্যাঁকে কত কি গোঁজা আছে, কত সব মিটার রইছে যেইগুলা দিয়া এইসব ওয়েভলেংথ, চরিত্র অপরাধ প্রবনতার হদিস লওয়া যায়।

    তুমি সুফি মানুষ, তোমার ইশ্বর সাদা মাইনষের ইশ্বর, তাই কালো মানুষের পোন্দে বাঁশ দিয়া খাড়া করায়া রাখলেও তোমার সুশীল ভাবনায় সেইটা অশালীন হয় না। এই যে সব মানুষ সমান কইয়া একটা গোটা মহাদেশের মানুষরে একটা পয়সা দিয়া মাইপ্যা দিলা, এইটারে কি রেসিজমও এর আঁওতায় ফেলানো যায়? অবশ্য রেসিজম চেতনায় থাকলে সেইটা মানুষের কূপ্রকৃতিগুলারে উসকায়া দেয়, তুমি কইছো, তোমার কথাই তোমারে কইতাছি জ্ঞানী ও ভন্ড শেয়াল সুফী।
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ০৫:৩৩:৫৫

    মানুষের কোর বিলিভ, সেমি কোর বিলিভ, ফেইথ কোনটাই সে জিনে নিয়ে জন্মায় না। বিশ্বাস না হলে ব্যাক টু দ্যা পাস্ট। জন্মের আগে নিজের রুট চেইঞ্জ করুন। কান্দুপট্ট্রির এক বেশ্যার পেটে ঢুকে পড়ুন। তার জয়ারু ছিড়ে বেড়িয়ে এসে দেখুন কোন বিশ্বাসের ধারক আপনি।



    আফ্রিকানরা যেখানে এশিয়ানদের ভাবে ভোদাই; অলমোস্ট প্রত্যেকটা আফ্রিকানরা এশিয়ার কালারটাকে আনস্মার্ট মনে করে। তাতে কি যায় আসে? দ্যা ওয়ে ইউ হ্যাভ টু থিংক - দ্যাট হ্যাজ টু বি স্ম্যার্ট।



    জিন থেকে বংশ পরম্পরায় যা এসে চেহাড়ায় আকড়ে থাকে - তা দিয়ে পরিশ্রমী আর ইমোশনালীটি বোঝার মত কমন থিউরী রাস্তার পাশের পামিস্টের মত হয়ে গেল।



    যেখানে সমাজ, পরিবার, রাষ্ট্র ও প্রতিবেশ তার মধ্যে ধারণা পুষ্ট করে সব অনুভূতি বিকাশ ও প্রকাশের। ফুডিং হেভিট চেইঞ্জ করে দিন দেখবেন অনেক চাইনিজ খাঁটি বাঙালী হয়ে গেছে।
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ০৫:৫৩:১৯

    হা হা হা। চেহারার থিওরীটা রূপকথার মত লাগল সত্যিই!



    মানুষের "লার্নিং প্রসেস" অনেক জটিল। কিছু প্রবনতা হয়তো উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া, স্কিজোফ্রেনিয়া যেহেতু জীনের সমস্যা, বলতে পারেন এগ্রেসিভ বিহেভিয়রের মত বিহেভিয়রের অন্যান্য কিছু কিছু কম্পোনেন্ট অনেক সময় ইন বিলট হয়। কিন্তু এর সাথে গায়ের রং বা চেহারার কোন সম্পর্ক নেই।
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ০৫:৫৩:৫৭

    বেশির ভাগই পরিবেশ থেকে পাওয়া... বেশির ভাগ!
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ০৭:৩৩:১১

    হুম.



    মুর্শেদের মূল পোষ্টে যেখানে কাল্লুদের দাসত্বপ্রথার উপরে একপেশে একটা দৃষ্টি ভঙ্গি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আমার মন্তব্য। আমার মন্তব্যে রেসিজমের ব্যাপার নাই।



    বিবিসি রেডিওতে শোনা একটা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অঞ্চলের যেমন এশিয়ান ও ইউরোপিয়ানদের মানসিক প্যাটার্নের উপরে করা বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে পাওয়া একটা ধারনার কথাই এখানে বলতে চেয়েছিলাম।



    সেখানে দীর্ঘ গবেষণায় দেখা গেছে আসলেই মানুষ যারা বিভিন্ন অঞ্চলের তাদের চিন্তার প্যাটার্ন ভিন্ন।



    হযবরল, কালো বন্ধু আমারও আছে। ওরা ুযারা ভালো হয় তারা ক্লাসিক রকমের ভালো। কারনটা আবারও বললাম, কালোদের চিন্তা করার প্যাটার্নটা।



    রাস্তার পাশের হস্তবিষারদদের মতো, অথবা রূপকথার মতো শোনালেও আই কান্ট হেল্প। কিন্তু কালপুরুষ খুব ভালো ভাবে ধরতে পারবে আমি কি মিন করছি যখন আমি বলবো, কালোদের হাতের গঠনটা যারা হাত দেখতে পারে এবং তা থেকে চিন্তার গঠন রিড করতে পারে তারা বুঝতে পারবেন।



    যেহেতু এখানে কালপুরুষ একমাত্র সেইরকমম এক্সপার্ট সেহেতু আমারই ভুল হইছে ফেইস রিডিং বা হাতের প্যাটার্ন প্রসঙ্গ টেনে এনে। কারন সেই এসোটেরিক জ্ঞানটা এইখানে সবার নাই (আমারও নাই) বলে বাকিদের কাছে রূপকথা মনে হবে।



    যারা বারবার বলছেন, মানুষের চেহারার সাথে আচরনের সম্পর্ক নাই, তাদের ফরেনসিক সায়েনস পড়তে বলবো (আমি নিজে বিশাল জেনে বসে নেই, তবে হালকা কৌতুহল ছিলো ফেইস রিডিং নিয়া) ।
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ০৭:৪১:৪৩

    ঠিক, কঠোর মানুষের চেহারায় কঠোরতা থাকে, তা ভাইটু এটা কোনো গেনেটিক গুন না, আমাদের আরোপিত ভাবনা, আমরা সবাই কঠোরের এক একটা রূপ নিজেদের ভেতরে তৈরি করে বসে আছি।

    ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন তা বদলাতে পারবে না। অনেক নিষ্পাপ চেহারার মানুষ হাসিমুখে মানুষ জবাই করে, বলৎকার করে, তাদের চেহারা দেখে এই বিষয় বলা যাবে না, এই যে একটা জোর জবরদস্তিমূলক ধারনা আরোপনের চেষ্টা এটাকে ঠিক কোন শোভন শব্দে প্রকাশ করবো ভাইটু।

    এটা কি তোমার ভাবমূর্তি উদ্ধার প্রকল্পের অংশ? তাহলে তুমি বি বিসি ভোয়া, ডিসকভারি বিভিন্ন চ্যানেলের বরাতে আরও কিছু জ্ঞানী উদ্ধৃতি দাও ভাইটু, আমার অনেক তিয়াস, জ্ঞানের তিয়াস,

    তোমার হাতে জ্ঞানের কলস, উপুড় করে দাও ভাইটু, একটু শুদ্ধ হয়ে সেই সব নিষ্পাপ আর পাপী মুখের ফেস রিডিং শিখি।
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ০৭:৪৯:২১

    রাসেলের মাথায় সেই 'চ' বিষয়ক গালাগালির পর থেকে নিজের ভাবমূর্তি নিয়া বড়ই পেরেসানি (শেষ পর্যন্ত গালাগালির পোস্টও মুইছা ফেলাইতে হইছে) । তাই কি বারবার ভাবমূর্তির কথা নিয়া আসতাছেন? আপনার অবচেতনে কি ইদানিং ভাবমূর্তি ঘোরাফেরা করে অশরীরিরি ছায়ার মতো।



    আমি ভাইটু, অধিকাংশ সময়ে বেজায় নির্লিপ্ত মানুষ। নির্লিপ্তরা গালি খাইলে তেমন মাইন্ড করে না। কিন্তু তাদের বেশি গুতাইতে নাই। কারন তখন সমালোচনার ধারনটা একটু বেশি হয়।



    ঘুরায়ে কইতে চাইলে কইতে পারেন, সবই আরোপিত ভাবনা। কুনু অসুবিধা নাই। বিবিসি ডিসকভারী তো খালি আমার নিজের সম্পত্তি না। ব্লগ বাদ দিয়া আপনি টিভি ছাইড়া দেখতে থাকেন। জ্ঞানের তিয়াস মিটান। আমি কেডা আপনারে জ্ঞানী উদ্ধৃতি গিলানোর?
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ০৮:০২:১৮

    গবেষণা কি নিয়ে হচ্ছে সেটা আগে জানতে হবে। হাইপোথিসিসটা কি? অঞ্চলভিত্তিক মানষিক প্যাটার্ন ইউনিক হয়। এটার সাথে কালার, চেহাড়ার গঠন প্রসংগিভূত হয় কিভাবে! যে রেফারেনস দিচ্ছেন সে থেকে আর আপনার বক্তব্যের সাথে ফারাক আছে। আপনি সেটার ডালপালা বিসত্দার করে যা বলছেন তার গবেষণা এখনও জিরো/প্রাইমারী লেবেলে আছে। দুটো ভিন্ন জিনিস।



    চেহাড়ার নির্দিষ্ট জাতিসত্তাতে যে আকৃতি সেটার সাথে আচরণ আর চেহাড়ার সাথে আচরণ দুটো ভিন্ন ডাইমেনশন। এখানে অঞ্চলবিশেষের চেহাড়ার সাজুয্যপূর্ণতার সাথে আচরণ নিরূপন নির্ধারণের গবেষণা হচ্ছে হোয়াইট ডমিনেনসী তৈরীর সেই প্রাগৈতিহাসিক ণৃ-বিজ্ঞানীয় এঙ্প্লোইটেশন। আমরা ভোদাই তাই লাফাই - কি গবেষণা! যথার্থ! নমো! নমো!



    চাইনিজরা যে ক্যালেন্ডারে জন্মতত্ব সংখ্যা হবে 8, ইংরেজী ক্যালেন্ডারে সেটা হতে পারে 9। এবটু ভালভাবে পড়ে দেখেন যে বাংলা ক্যালেন্ডারের ব্যাপারে কোন মন্ত্র দেয়া আছে কিনা। হাতের রেখা ও চেহাড়ার রিডিং এ কত ধরণের ভ্যারিয়েশন আছে, বক্তব্য উপস্থাপনের? একটা ব্লেন্ড করে দেখেন - রিডিং কেউ খারাপ বলবে না! এ সবের সাথে অঞ্চলভিত্তিক বা কালারের সাথে আচরণের সম্পর্ক নির্ণয় যায় না এটা অন্য বিষয়।



    যদি আপনি কালার ও অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসাবে এ বিচার করতে শুরু করেন, অফকোর্স রেসিজমের দোষে দুষ্ট। পশ্চিমারা তাই চায়। বিশ্বকে ধারণ করে তারপরে দেখতে থাকুন চিনত্দার বিস্তৃতি। যে এ হাইপোথিসি নিয়ে কাজ করছে তার সীমাবদ্ধতা কোন জা'গাতে - নিজে গবেষণা করার আগে সেই গবেষক নিয়ে গবেষণা করুন - পার্সপেক্টিভ অনেক ক্লিয়ার হয়ে যাবে!
  • হযবরল বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ০৮:০৩:৫৯

    এই লিখা এতদিন পর আবার ভুস করে ভেসে উঠল কেন?



    যাই হোক সাদিক আচরণ থেকে শুরু করে চিন্তা সব ভূপ্রকৃতি এবং বহুলাংশে বেড়ে উঠার উপর র্নিভর করে।



    বাংলাদেশের চর অঞ্চলের লোক, পাহাড়ি অঞ্চলের লোক যেখানে আবাদী জমি কম সেখানকার লোক একটু এগ্রেসিভ এবং মার মার কাট কাট টাইপ। কারণ তাদের জীবনের প্রয়োজনে এটা হয়। কিন্তু যেখানে আবাদী জমি খুব ভাল সেখানে মার মার ভাবটা নেই। নোয়াখালী পানিতে ডুবে থাকে তাই মূলত এরা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত শ বছর ধরে, বাংলাদেশের মেজরিটি হুজুর নোয়াখালীর।



    আপনি এখানকার কালোদের ভালো করে দেখুন তারপর বুঝবেন । এরা সেই দাসত্বের স্মৃতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজেদের ভাষা, পোষাক , স্টাইল , কালার , ফুড সব আলাদা করেছে। এর মূল কারণ ওদের রেসিয়াল মেমোরী ওদের জানায় যে দে আর স্টিল ডিপরাইভড এন্ড টরচারড। যদিও ওরা এখন সেরকম টরচারড না , টরচার আছের বাট লেস।



    এটা খুব ক্লোজলি যদি বাংলাদেশের বস্তির মানুষ অবজারভ করেন বুঝবেন। ভীষণ নিরাপত্তহীনতা এবং মারজিনালাইজড ভিউ পেতে পেতে এরা বস্তির বাইরের লোক মানে শোষক ভাবে। সব শ্রেনীর ক্ষেত্রে এটা হয়। এগুলোই এদের করে তীব্র ধারালো, অধিকার প্রবণ এবং জেদী। এর সাথে ফেস এর সমর্্পক খোঁজা খুব হাস্যকর।



    এটা ঠিক ফেস এর রিলেশান আছে অভিব্যক্তিতে। রাগ, দুঃখ , রোমান্স এই ধরণের সব অনুভূতির এক্সপ্রেশন জেনারলি সারা দুনিয়ার মানুষের একই। যেমন টক খেলে আমি , অমিতেশ , আস্ত, সাশা সবাই ভুরু দুটো কুঁচকে ফেলবে। আপনি এই ধরণের এক্সপ্রেশন বেইজড একটা ডিসিশনে যেতে পারেন । এমনকি সারা দুনিয়ার গোঁয়ারদের ফেস এক্সপ্রেশন একি । সেক্ষেত্রে কালোরা গোঁয়ার বিশেষায়িতভাবে কেমনে বুঝবেন ?





  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ০৮:১১:২৮

    উহু, কৌশিক এবং হযবরল,

    কালো গোঁয়ার বললে বেশি সরলিকৃত হয়ে যাবে।



    বলতে চাইছিলাম চিন্তার প্যাটার্ন নিয়ে।

    এখন এইটাকে অঞ্চল বা পরিবেশে দীর্ঘদিন এক্সপোজ থাকার সাথে সম্পর্ক তৈরী করেও দেখানো সম্ভব।



    স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশের লোকজন তুলনামলূকভাবে অসামাজিক। এই কারনে তারা মুখোমুখি যোগাযোগের চাইতে ফোন, ইমেইল বেশি ব্যবহার করে। নোকিয়ার মোবাইল ফোন মার্কেটিং গবেষনার ফলাফল। এখন আবার আমারে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রেসের প্রতি বিদ্্বেষ বলে এটাকে দেখলে তো মুশকিল।



    এইভাবে প্রথমেই নেগেটিভ মনোভাব নিয়ে আসলে তো ভাই মতপ্রকাশ করাই মুশকিল।



    যখন সুন্নী ডকট্রিনের ধর্মান্ধতার কথা বললাম, আমি হইলাম শিয়া প্রতিনিধি।



    যখন গোঁড়া ধমর্ান্ধ অর্থডক্স স্কুল অফ থটের বাইরে মিস্টিক স্কুল অফ থটের কথা কইলাম তখন হইলাম ভন্ড শেয়াল সুফি।



    যখন লেবাননে একজন মানুষ, একজন শিশুর কষ্ট দেখলাম; তখন শুনতে হইলো লেবানন আরেকজনের পেছনের ছিদ্র। আমি নাকি মানুষ না দেইখা মুসলিম ব্রাদারহুড দেখছি।



    যখন আমি সুমনের এই পোস্টে কাল্লুদের বিরুদ্ধে দাসত্ব - এই মনোভঙ্গির পেছনে রেসের বা জাতিত্বত্ত্বের সাথে মানসিকতার মিলের পক্ষে মতামত দিলাম তখন হইলা রেসিস্ট।



    দু:খজনক। মতের মিল না হইলে সেইটা নেগেটিভ লেবেল না দিয়েও বলা যায়।
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ০৮:১৪:৪২

    দু:খিত কথাগুলো শুধু কৌশিক বা হযবরলকে নয়। ইন জেনারেল। ভুল না বুঝলে সুখি হই, যদিও আমার কিছু আসা যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু কেন যেন আসে যায়। বিচিত্র!
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ০৮:৩০:০৬

    প্রবলেম তো হচ্ছে কোনটাকে রেসিজিম বা অফেনসিভ মনে করা বা বলা বা উপস্থাপনা বা ইংগিত সেটা। ব্লাকদের ব্লাক বলবে না তো তাদের কি হোয়াইট ব লবে? বিষয়টা এত সরলীকৃত নয়। কালোদের কালো বলে সন্বোধন করতে কোন অসুবিধা নাই - যদি এটাকে বক্তা ঘৃনা প্রকাশ অর্থে না বলতো!



    কাজেই ব্লাক বলা একটা গালি। এটা কেউ বললে সে রেসিস্ট। আপনি যদি বলেন, ঠিকই তো বলেছি! সেটাতো হয় না।



    যেখানে যে আচরণ দেখা যাচ্ছে - সেটাকে যখন আপনি ভিন্ন একটা কালচারের নিক্তিতে মেপে ভাল, উন্নত, গোয়ার, কোমল ইত্যাদি বিশেষণে ব্যাখ্যা করেন তখন প্রশ্ন ওঠে। আপনাকে সেখানের পার্সপেক্টিভ অনুযায়ী বিচার করতে হবে। আফ্রিকার গোয়ারদের জিজ্ঞাসা করুন - তোমার কাছে গোয়ার কাকে মনে হয়! আপনার চিন্তা হয়তো পুরোপুরি চেইঞ্জ করে দেবে তার উত্তর।



    স্কান্ডেনেভিয়ানদের কে জিজ্ঞেস করুন কাকে মনে করো অসামাজিক? ব্যাখ্যা তাদের মতো করে তৈরী করবে? গবেষকদের কালচার অনুযায়ী নয়।
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ০৮:৪১:০১

    সাদিক ভাবনা বোঝার চেষ্টা করো, খুব খুয়াল কইরা, মানুষ সম্পর্কে সাধারন কোনো মতবাদ দেওয়ার আগে হাইপোথিসিসের গ্রাউন্ডটা যাচাই করতে হয়, আর ভুংচুং ফেস রিডিং, হাতের রেখা এইসব মানুষের সার্বিক পরিচয় ধারন করে না, একেবারে সুফীসন্ত মানুষও পরিবেশের চাপে পড়ে ডাকাত খুনি হতে পারে তার হাতের রেখায় যতই লেখা থাকা উচ্ছশিক্ষইত হবে পরিবেশ না পেলে তা কখনই সম্ভব না, পরিবেশের প্রভাব ফেলে চেহারা দেখে ভবিষ্যতবানী, মানুষের চামড়া দেখে ভাবনা অনুসরন করে ফেলা, এইসব গু মুত পশ্চিমা কাকাদের ভাষ্য দিয়া খাওয়াইলেও কেউ খায় না, আমি একটা খাইতাছি না এমন না, আমি একা এই জায়গাটাকে ডিফাইন করতাছি না, সবাই তোমার বক্তব্যটাকে পুনর্বিবেচনা করতে কইতাছে, তার কারন তোমার ভাবনার অসামঞ্জস্যতা, এইটা নিয়ে যদি কও আমি কইছি তাই এইটাই শেষ কথা, আমি বুঝছি তাই নতুন বুঝার প্রয়োজন নাই, তাইলে তো ভাইটু বিপদ।

    এইসব অশিক্ষিত মানুষের আচরন বহন করাটা কি তোমার ফেসিয়াল রিডিংএর ভাষ্য আসছে??
  • হযবরল বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ০৮:৪২:০০

    আমি বুঝি না এই যে নিউমেরোলজি নিয়ে কথা কইতাছেন, এটার বেইস কি ? ধরেন আমার জন্ম বাংলা 1, ইংরেজী 5 , হিজরি 7 , সম্রাট হুমায়ুনের ক্যালেন্ডারে 13। এখন আমারে কোন নম্বর দিয়া ডিফাইন করবেন ?



    জন্মের ক্ষণে তারার অবস্থান থেকে শরীরে ম্যগনেটিক ফিলডের প্রভাব বলা যায়, কিন্তু এর বেশি বলাটা বুজরুকি , তেমনি সংখ্যা দিয়ে লোকের চরিত্র বলাটা আজগুবি।

  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ০৮:৪৩:০০

    কালপুরুষরে জিগাইতে পারেন আলাদা পোস্টে। আমি জানি না।
  • রাগ ইমন বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ০৮:৪৩:৫৩

    হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা





    আইতাছি, একটু কাজ কইরা লই।





    কৌশিকদা, এর পর যদি কন যে বাংলাদেশের জন্য ভাবার সময় নেট থাকে না, আপনার খোমা নতুন করে পড়ানো ব্যবস্থা করবো ..........কামিং সুন। অনেক কাজের কথা আছে।
  • অতিথি বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ০৮:৪৪:০৯

    হযু এইটা বিজ্ঞান পিথোগোরাস ব্যাভার করতো, না কি আর্কিমিডিস, সাদিক ভাইটু কে জানি এইটার সূচনা করছে??
  • রাগ ইমন বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ০৮:৫২:৩১

    হযবরল,

    তোমার লেখা যত পড়ছি, তত মুগ্ধ হচ্ছি।

    এতটা চিন্তাশীল লেখা , আফসোস, আমাদের মনযোগ কম......ধৈর্য্য কম , রাগ বেশি.........যদিও রাগু আমার নাম।



    ফ্যান্টাস্টিক বিশ্লেষনের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!





  • হযবরল বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ০৮:৫৭:৪৯

    হাইজেনবারগ এর তত্ত্বতো বলেই যে স্থান এবং কাল একত্রে নিখুঁতভাবে কখনোই পরিমাপ করা যায় না। তার মানে প্রতিটা সেকেন্ড যে আমারা যাপন করি তার প্রতিটির অসীম

    সম্ভাবনা , সো এইভাবে পর পর পাঁচ সেকেন্ড এর সব সম্ভাবনাগুলোর পারমুটেশন কম্বিনেশন করলে 5অসংখ্য * 5অসংখ্য সংখ্যক

    সম্ভাবনা তৈরি হয়।



    জ্যেতিষ শাস্ত্র না বলে যদি বলা হত সম্ভাবনা শাস্ত্র বলা হয় তবে সেটা অনেক ফিজিবল শোনায়।

    ধরুণ রাসেলের সামনে 300 রকম বিভিন্ন বিষয়ের বই রাখা হল, ঠিক সন্ধা্য সাতটায় অফিস থেকে এসে উনি কোন বইটা হাতে নিবেন ?



    মনে হতে পারে ওরে বাবা 300

    সম্ভাবনা থেকে একটা। আসলে রাসেলের চয়েস এবং সময় সব বিবেচনা করলে অপশন নেমে আসে 8/10 টায় । কারণ একজন মানুষের পছন্দের বিষয় থাকে লিমিটেড, সারাদিন অফিস করার পর চয়েস হয়ে যায় আরো লিমিটেড । ফলে প্রেডিক্ট করা খুব জটিল কিছু না। এইটা সিম্পল বাতিল করণ প্রক্রিয়া দিয়ে সম্ভব, বলা যে উনি কোন বইটা পড়বেন। এজন্য কোন শাস্ত্র দরকার নেই।
  • রাগ ইমন বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ০৮:৫৯:৪৫

    আলাদা করে একজনের কথা বলা বোধ হয় ঠিক হলো না......অবিচার.......পুরা বিতর্কটাই দারুন উপভোগ্য ।



    দারুন লাগলো অনেকের বক্তব্যই ! তবে এই পোস্টে হযু বেস্ট , এখন পর্যন্ত , কইতে লজ্জা নাই!

    (চামহাসি)



    চালায়া যান! ব্রাভো!!!
  • রাগ ইমন বলেছেন :
    ২০০৬-০৮-২০ ১১:১৫:৩৮

    ওমা!!! শেষ?

    আফসোস..........

হায় স্বাধীনতা!!!!!!



স্বাধীনতার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। যুদ্ধে যায়, আত্মাহুতি দেয়। 'স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে কে বাঁচিতে চায়, পরাধীনতা শৃঙ্খল কে পরিবে পায় হে কে পরিবে পায়!'

সিকিউরিটির নামে মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এ অভিযোগ অনেকে করেছেন। তারা নাকি সন্দেহযুক্ত কারো অজান্তেই ইমেল, ফোন ট্র্যাপ করে, সমস্ত তথ্য চেক টেক করে দেখে। কিন্তু এই রকম একটা ঘটনা ঘটাতে পারে সেটা কখনও আন্দাজ করিনি।

সম্প্রতি একটা ওয়েবসাইটে দেখলাম এক লোক দেখলাম Dell 600m সিরিজের একটা ল্যাপটপে একটা ডিভাইস ঠিক করতে সেটা খুলেছে। খুলে আবিষ্কার করল কিবোডের্র সাথে নেটওয়ার্কের কাডের্র একটা বিশেষ সংযোগ যেটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি কি করছেন সেটা বিশেষ কাউকে পাঠিয়ে দিতে পারে।

সেই লোক Dell কে ফোন করার পর তারা জানায় এটা আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ। সিকিউরিটি বিরাট ঘাপলা দেখে সে পুলিশকে ফোন করে। পুলিশ তাকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির কাছে ফোন করতে বলে। সেখানে যোগাযোগের পর তারা জানায় এব্যাপারে তারা বিশেষ কিছু জানাতে পারবেনা কেননা এসমস্ত তথ্য ক্লাসিফায়েড।

হায় স্বাধীনতা!!!!!!

তিনটি বাঁদর



তিনটি বাঁদর।

তাদের একজন কান বন্ধ করে আছে। বলছে - 'খারাপ কিছু শুনতে নেই'।

আরেকজন চোখ বন্ধ করে আছে। বলছে - 'খারাপ কিছু দেখতে নেই'।

তৃতীয়জন মুখ বন্ধ করে আছে। বলছে - 'খারাপ কিছু বলতে নেই'।

সেই যে আমার কার্টুন দেখার দিনগুলি



ছোটকালে কার্টুন অনেকেই দেখে থাকবেন। আশির দশকের থান্ডারক্যাটস থেকে শুরু করে সুপারম্যান, স্পাইডারম্যান এসব কার্টুন তো আমাদের মুখে মুখে ঘুরত। মননে চিন্তায় চেতনায় কি এসব একটুও প্রভাব ফেলেনি?

বাস্তবে যা সম্ভব নয় কার্টুনে তা হতে দেখে যার-পর-নাই মজা লাগত। কল্পনায় দেখতাম আমি স্পাইডারম্যান হয়ে গেছি, উড়ে বেড়াচ্ছি সুপারম্যান হয়ে। কিন্তু কল্পনা কল্পনাই, বাস্তব হয়না কখনও।

সমস্যা হচ্ছে বড় হয়েও আমার কার্টুনের নেশা কাটে নাই। টিভিতে অন্যান্য চ্যানেল আমি যতনা দেখতাম তার চেয়ে বেশী দেখতাম কাটুর্ন নেটওয়ার্ক। কার্টুন দেখা সত্যি লজ্জাকর ব্যাপার একটা বুড়ো ধাড়ির জন্য। কিন্তু নেশা বলে কথা...

বাস্তবে তো আমাদের নিরন্তর বসবাস। বাস্তবের নিত্য আঘাতে হৃদয় জীর্ণ থেকে জীর্ণতর হয়। তাই এই ফ্যান্টাসির জগৎ বড় ভাল লাগে আমার। মানুষের অতিলেীকিক ক্ষমতা, ভাল মানুষদের ভালো করার অভিপ্রায় এসব সহজ সরল বিষয় আমার মোটা মাথায় ঢোকে ভাল।

আমেরিকা আসার প্রায় একবছর পর একটা ছোট্ট টিভি কুড়িয়ে পেয়েছি। সে সমস্ত চ্যানেল ফ্রি পাই তার মধ্যে wbc একটা। এই চ্যানেলে রাত সাড়ে ১০টায় নিয়মিত একটা কার্টুন দেখায় - South Park নামে। একেকটি পর্ব যেন রাসেল ( .......) এর একেকটি জ্বালময়ী লেখা। সমাজরে অসঙ্গতির ফ্যান্টাসী প্রেজেন্টেশন। কাগজ কেটে বানানো দ্বিমাত্রিক ছবির বিশ্রী প্রেজেন্টেশন, খুব রাফ, প্রচন্ড অপমান করে বলা কথা বাতার্ এসব দেখে অনেকে অফেন্ডেড ফিল করতে পারে। তারপরেও আমার কাছে ভীষন মজা লাগে কাটুর্ন গুলো। এমনকি কোন কোন পবের্ তারা মোহাম্মদ (সা:) কে নিয়েও ঠাট্টা করেছে। হয়ত এর অল্প জনপ্রিয়তার কারনে কেউ লক্ষ্য করেনি এটা।

কিছুদিন আগে একটা ওয়েবসাইটে বেশ কিছু কার্টুনের কালেকশন পেলাম। আর পায় কে আমাকে - তুমুল দেখছি কেবল।

http://cartoons.peekvid.com/

মন্তব্যসমূহ
  • অরূপ বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১২ ২৩:০৭:২৫
    চানস পাইলে এখনও দেখি..
    ডেক্সটারস ল্যাবরেটরী, ফ্যামিলি গাই, সাইথ পার্ক আর সিম্পসনস ..

    পপাই আর থান্ডারক্যাটস ছিল জটিল আনন্দের বিষয়!!!
    টম এন জেরী দেখার খায়েস যখন ছিল তখন উপায় ছিল না, বুড়া কালে শখ মিটছে!
  • এস এম মাহবুব মুর্শেদ বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১৩ ০০:০৭:৫৯
    যাক আরেকজনরে পাওয়া গেল তাহলে।
  • অরূপ বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১৩ ০০:০৭:৫৪
    আরও আছে.. লজ্জায় আবাজ দেয় না..
  • গোপাল ভার বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১৩ ০৪:০৭:৪৫
    আমিও কার্টুনের কড়া ফ্যান।
    আগে টম এন্ড জেরি কিডস শোর ভিতর একটা কার্টুন দেখাতো, নাম ড্রুপি এন্ড ড্রিপল , কঠিন লাগতো।

    পছন্দের তালিকায় আরো আছে:

    সামুরাই জ্যাক, স্পনজ বোব, হেই আর্নোলড, কারেজ দা কাওয়ার্ডলি ডগ।
    লুনি টিউনসের সিরিজ গুলো খুব ভাল লাগে।
  • এস এম মাহবুব মুর্শেদ বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১৩ ০৪:০৭:৫৭
    সবগুলোই আমার মজা লাগে। এক্স মেন গুলো আগে দেখা হয়নি। এখন দেখছি।

    http://cartoons.peekvid.com/
    এই লিঙ্কটাতে অনেক কার্টুন পাবেন।
(প্রথম প্রকাশ সামহোয়্যার ইন ব্লগ ২০০৬-০৭-১২)

মি: হাইড



প্রতিটা মানুষের ভিতর ভাল আর খারাপ এই দুটি সত্ত্বার বসবাস। চচার্র মাধ্যমে কেউ খারাপ সত্ত্বাটির বিকাশ ঘটায় কেউ ঘটায় ভাল সত্ত্বাটির বিকাশ। ড: জেকিল আর মি: হাইডের গল্পটি দুলাইনে প্রকাশ করতে বলা হলে এভাবেই বলব আমি।

খারাপ সত্ত্বাটি কিন্তু ভেতরেই থাকে। অপেক্ষা করে সুযোগের। তচনচ করে দেয় পৃথিবী সঠিক সুযোগ পেলে।

একই সুর পাই আমরা এক্স মেন ত্রি তে জীনের চরিত্রে। তেমনি সাম্প্রতিকতম বিশ্বকাপ ফাইনালে জিদানের ব্যাবহারে দেখা যায় তার মি: হাইডের বহি:প্রকাশ।

আমার ক্ষেত্রে দেখেছি চুল বড় রাখলে আমার মি: হাইড বেরিয়ে আসে। ক্রমাগত হিংস্র থেকে হিংস্রতর হয়ে যেতে থাকি আমি। পুরো দুনিয়াকে হেলায় সরিয়ে দিতে পারি। উড়িয়ে দিতে পারি সবকিছু ফুৎকারে।

চুল বাড়ে আর সেই দৈত্য বড় হয়, আরো বড় হয় - বেরিয়ে আসতেই থাকে ...

আপনার মি: হাইড বের হয় কখন, কিভাবে?

মন্তব্যসমূহ
  • সাদিক বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১০ ০৬:০৭:৫৭
    যখন আমি কি, বা
    আমি আমার নিজেকে ভুলে যাই,
    ঠিক তখন।
  • সাদিক বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১০ ০৬:০৭:২৯
    চমৎকার থট প্রোভোকেটিং পোস্ট। যারা চিন্তা করে তাদের জন্য অবশ্যই। নইলে ..

    আমার ইংরেজী ওয়েবলগে পোস্টদিতে পারি এইটা? তোর ক্রেডিটে অবশ্যই।

    http://mysticsaint.blogspot.com
  • ফজলে এলাহি বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১০ ০৬:০৭:৫৯
    পোষ্টটি পড়েই কুরআনের যে আয়াতটি মনে পড়লো-

    [ইংলিশ]অহফ রহংঢ়রৎবফ র: (রি:য পড়হংপরবহপব ড়ভ) যিধ: রং ৎিড়হম ভড়ৎ র: ধহফ (যিধ: রং) ৎরময: ভড়ৎ র:. [ঝঁৎধ অংয-ঝযধসং : ০৮][/ইংলিশ]

    “তারপর তাকে তার সৎকাজের এবং তার অসৎকাজের জ্ঞান দান করেছেন।” [সূরা আস্-শামচ্ : ০৮]
  • ফজলে এলাহি বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১০ ০৬:০৭:৩০
    And inspired it (with conscience of) what is wrong for it and (what is) right for it. (Sura Ash-Shams : 08)

    ইংরেজীটা কি এবারও দেখা যাবে না?
  • সাইফ ভুইয়া বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১০ ০৭:০৭:৫২
    পবিত্র কুরআনে আত্মার তিনটি রূপের কথা বলা হয়েছে----
    ১। নাফসে আম্মারা
    ২। নাফসে লাওয়ামা
    ৩। নাফসে মুতমাইন্না।
    আম্মারা সবসময় মানুষকে খারাপ কাজের প্ররোচনা দিতে থাকে । লাওয়ামা কোন খারাপ কাজ করে ফেল্লে মনকে ধিক্কার দিতে থাকে । মুতমাইন্না সবসময় অবিচল আর প্রশান্ত থাকে। যার ভেতর আত্মার এই প্রভাব যতটুকু প্রকট তার কর্মকান্ড সেই রকমই হয়ে থাকে।

    তবে এখানে মি: হাইড বলে যাকে বুঝানো হয়েছে তাকে আম্মারাকেই বুঝানো হয়ে থাকতে পারে বলে আমার মনে হয়। হঠাৎ তার স্ফুরন মানবীয় দুর্বলতা এবং প্রথটির প্রভাব কেই প্রকাশ করে।
  • সাইফ ভুইয়া বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১০ ০৭:০৭:৪৩
    আমার নিজেকে ভুলে গেলেই কেবল ভেতরের মানুষটি (পশুত্বটি) বের হয়ে আসতে পারে। আমার নিজের বেলায় তা দেখেছি।
  • এস এম মাহবুব মুর্শেদ বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১০ ০৭:০৭:০৭
    সাদিক, তুই তোর ব্লগে শিওরলি পোস্ট করতে পারিস।

    ফজলে এলাহি এবং সাইফ,
    আপনার বোধহয় মূল প্রসঙ্গ থেকে দূরে চলে যাচ্ছেন। নিজের মি: হাইড কখন বেরিয়ে আসে সেটাই বিশ্লেষন করতে চেয়েছি আমি।

    মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
  • এস এম মাহবুব মুর্শেদ বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১০ ০৭:০৭:০০
    ওহ সাইফ আপনার দ্বিতীয় মন্তব্যটি দেখতে পাইনি আগে। সরি।
  • সাদিক বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১০ ০৮:০৭:৩৪
    কৃতজ্ঞতা।
  • অমি রহমান পিয়াল বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১০ ০৮:০৭:৫১
    ঢুসটাই দেখলেন! উস্কানিটা দেখলেন না!! জিদানের মতো মুখচোরা চুপচাপ আদমী কী কারণে প্রোভোকড হয় সেটাও বিবেচ্য। এনিওয়েজ, ভালো পাইছি আপনের বিশ্লেষণ। অ:র:পি: খুশ হুয়া
  • এস এম মাহবুব মুর্শেদ বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১০ ০৮:০৭:০৩
    পিয়াল ভাই,
    জিদানকে কি বলছিল সেটা আমি জানি না, ইন্টারনেটেও পাইনি। কিন্তু তার মি: হাইড বের হতে দেখেছি। তখন ভাবলাম সবারই তো মি: হাইড থাকে, কখনও দেখা যায় কখনও যায় না। তো ঠিক কি জন্য ঘটে ব্যাপারটা সেটা ভাবতে গিয়ে এই পোস্টের জন্ম। কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
  • মুখফোড় বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১০ ১০:০৭:৫৩
    হুমমম ... প্লট পেলুম। দেখি রহস্যগল্পে এ সংক্রান্ত টুইস্ট দেয়া যায় কি না।
  • রেজওয়ান বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১০ ১৬:০৭:৩৩
    আপনার চুল এখন কত বড়?

    Jokes apart আমার মনে হয় মানুষের মনের খারাপ দিকটি বের হয়ে আশাটা নিতান্তই মানবিক ।

    এমনি যে ব্যক্তির শুধু গুনই প্রকাশ পায় তার মধ্যে নিশ্চয়ই গলদ আছে । আমি ব্যক্তি পুজোয় বিশ্বাসি না । জিদান অমন করায় তার হিরোইক ইমেজের ক্ষতি হয়েছে কিন্তু সে যে রক্ত মাংসের মানুষ এটাই প্রকাশ পেয়েছে ।

    আমার মনে হয় স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড হওয়াই ভালো । মুখে মিষ্টি আর পেটে বিষ ধরনের ভন্ড সম্পর্কে আমি সব সময়ই সাবধানে থাকি ।
  • চোর বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১০ ১৬:০৭:৫৬
    আমার কোনো হাইড ফাইড নাই। যা কই সরাসরি। আপনে মিয়া এই মান্ধাতা আমলের বড় চুলের স্টাইল বাদ দিয়া টাকমাথা হইয়া যান। তয় জিদানের মত আমারে আবার টাকমাথা দিয়া গুতা মারতে আইসেন না।
  • এস এম মাহবুব মুর্শেদ বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১০ ২২:০৭:১৮
    মুখফোড় যে হারে আপনি প্লট পাচ্ছেন তাতে করে ঢাকা বাসী তো প্লটহীন হয়ে যাবে। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হবে। অবশ্য আপনি প্লট পাইলে আমাদেরই সুবিধা। ক্যারি অন।
  • এস এম মাহবুব মুর্শেদ বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১০ ২২:০৭:৪৪
    রেজওয়ান ও চোর ধন্যবাদ।
    চোর ফ্যাশন ট্যাশন মানি না। আমি লম্বা চুল রাখতে পছন্দ করি। দ্যাটস ইট। তবে আর হয়ত রাখা হবে না।
(প্রথম প্রকাশ সামহোয়্যার ইন ব্লগ ২০০৬-০৭-১০)

বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা



এশিয়ার দেশগুলোতে সেটল ম্যারেজের ক্ষেত্রে মেয়ে দেখা নামক এই বিদঘুটে প্রথাটা চালু আছে। পুরো প্রসেসটি বেশ জটিল এবং অর্থ ও সময় দুটোরই অপচয় ঘটায়। প্রথমে মেয়ের বা ছেলের খোঁজ লাগাও - সম্ভবত কোন মধ্যবতীর্ লোকের মাধ্যম - সে হতে পারে বিনামূল্যে সাহায্যকারী কোন আত্মীয় বা অথের্র বিনিময়ে সাহায্যকারী ঘটক ব্যাক্তি বা সংস্থা।

এই মেয়ে দেখা পদ্ধতির জন্ম অনেক বছর আগে যখন মেয়ে ছেলেরা কাছাকাছি হবার সুযোগ পেত কম, বিয়ের আগের সর্ম্পকটাকে ভীষন খারাপ হিসেবে ধরা হত। এ যুগেও দেখা যায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রথাটার দরকার আছে। যেমন ধরুন ছেলে বা মেয়ে দেশের বাইরে থাকে, সেক্ষেত্রে তাদের গন্ডি সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। তাই দরকার হয় ম্যাচমেকিং। কিংবা ছেলে বা মেয়ে এতটাই অর্ন্তমূখী যে বিপরীত লিঙ্গের সাথে তাদের মেলামেশা সীমিত - সেক্ষেত্রেও এটার প্রয়োজন। কিন্তু আমার আপত্তি পরিবারের সবাই দলবেঁধে যাওয়াটাতে।

শুধুমাত্র এই ব্যাপারটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু ম্যাচমেকার সংস্থা এবং ওয়েবসাইট। বিশেষ করে ইন্ডিয়ার শাদী ডট কম, বা রেডিফ ডট কমের মত ওয়েবসাইট গুলো এক্ষেত্রে গুরুত¡পূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। বাংলাদেশেও এই ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার ফলে অনেকে এদের কাছে ধর্ণা দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে চান বিয়ের এই phase টিতে।

একটা ভাল সম্বন্ধ খুঁজে পাওয়া গেলে শুরু হয় মেয়ে দেখা। মূল কনসেপ্ট হচ্ছে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে ছেলের বাসার সবাই চেখে দেখবেন সবকিছু ঠিক আছে কিনা - মেয়ের বাড়ির রান্না থেকে শুরু করে, মেয়ের চেহারা ছবি, পরিবারের অন্যান্যদের অবস্থা ইত্যাদি।

এই ব্যাপারটা যে কি ভয়ঙ্কর তা সে মেয়ে মাত্রই জানে। সেজেগুঁজে বসে থাকো, হেঁটে দেখাও, গান শুনাও, ধাঁধার উত্তর দাও, হাসি মশকরা সহ্য কর - এরকম বিভিন্ন বিচিত্র ব্যাপারের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় মেয়েটিকে। অনেকে নামাজের মাশলা-মাসায়েল জিজ্ঞেস করে মেয়েকে। অনেকে আবার ভেজা পায়ে হেঁটে যেতে বলে পায়ের নিচের ফঁাকা জায়গাটা ঠিক আছে কিনা দেখার জন্য - যেন ওটা ঠিক না থাকলে কেয়ামত হয়ে যাবে। মুরুব্বীরা মেয়েটার শরীরের বিশেষ জায়গায় তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে - 'আমাগো পোলাডা মজা পাইবো কিনা সেইটা নিশ্চিত করতে হইবো না?' যেন কোরবানীর গরুর হাট। অথচ ছেলেটাকে এসবের কিছুই করতে হয়না। বসে বসে সে খালি মজা দেখে। এদিকে মেয়েটার পরিবারকে ৮/১০ জন লোক খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে করতে কালঘাম ছুটে যায়।

ইদানিং আবার এর ধরন বদলেছে। কোন দোকানে ছেলের পরিবারের একজন দুজন যায়, আর মেয়েটাও কাউকে নিয়ে যায়। দেখা সাক্ষাত হয় কথা বার্তা হয় - যেন সাজানো নাটক। শরীর বিশ্লেষন চলতে থাকে এরই ফাঁকে। আধুনিক নাগরিক জীবনের শর্টকাট মেয়ে দেখা।

আরেকটা ফর্ম আছে যেখানে মেয়ে ছেলে ফোনে কিছুদিন কথা বলে নিজেদের জেনে নেয়। তারপর নিজেরা কোথাও ডেটিংএ গিয়ে আরেকটু একান্ত হয় দুজনার। এই পদ্ধতিটাকে অবশ্য আমার ভালই মনে হয়েছে।

এখন যদি আপনার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঘটে তাহলে কিভাবে দেখবেন? আপনি কি পুরোনো পদ্ধতিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেয়ে দেখতে চাইবেন? নাকি নিজের মতে করে মেয়েটার সাথে কথা বলে বুঝে শুনে নিবেন?


(লেখাটির কনসেপ্টটার জন্য ধন্যবাদ ইফতেকার ভুঁইয়াকে)

মন্তব্যসমূহ
  • সামিউল বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-৩০ ০২:০৬:২৮
    এখনকার দিনে সেটল ম্যারিজটা কিছু চাহিদা মেটানোর সামাজিক চুক্তি ছাড়া আর কিছুই না বলে মনে হয়।বিয়ে করার ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ে দুইজনের অন্তত: নিজেদের মধ্যে ভাব-ভালোবাসা থাকা দরকার এবং একসাথে বাকী জীবন কাটানোর আগ্রহ থাকা দরকার বলে মনে করি।
  • হযবরল বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-৩০ ০২:০৬:৩৯
    ছবিগুলি তুমি কই পাও।এই ছবি দেখে আমি মুগ্ধ। এই লেখায় কি ছু মসলা দিই।

    আগে গ্রামে মেয়ে দেখার সময় পাত্র পক্ষ আনারস নিয়ে যেত। ছিলার সময় আনারসের চোখ ফেলতে গিয়ে যদি আনারস শেষ হয়ে যায় তবে অপচয়ী মেয়ে। যদি কম ছিলে এবং সবজে রংটা থেকে যায় তবে কিপটুশ মেয়ে।

    মেয়ে দেখানোর জন্য সবচেয়ে ভাল হচ্ছে শীতের বিকাল বেলা সময়টা। এই সময় যে রোদ থাকে সেটাকে বলে গৌরর্বণ রোদ। এই আলোয় যা দেখবেন তাই ভালো লাগবে (এমনকি নেড়ি কুকুর দেখলেও )। শীতকালে বিয়ের প্রার্দু ভাবের এটা একটা সাইড কারণ।

    সাধু সাবধান গোধূলির আলোয় দেখবেন না , আর আম-কাঁঠালে ভুলবেন না।
  • এস এম মাহবুব মুর্শেদ বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-৩০ ০২:০৬:৩৪
    হযবরল মসলা গুলোর জন্য ধন্যবাদ। আমার ব্যাপারগুলো জানা ছিল না। আর ছবির জন্য ইন্টারনেট। একবার বেশ কিছু ছবি ডাউনলোড করে রেখেছিলাম একটা ত্রিডি ছবির গ্যালারী থেকে। সুযোগ বুঝে মেরে দেই।
  • আড্ডাবাজ বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-৩০ ০২:০৬:০৭
    ভাইরে, এখন মিয়া বিবি রাজী থাকলেই গার্জিয়ানরা হাফ ছেড়ে বাচেন। ঝামেলা যতো কম ততো ভাল। ঘটা করে দেখার প্র্যাকটিস নির্ভর করে পারিবারিক পটভূমির উপর। তবে সাধারণত পছন্দ না হলে কেউ ফর্মালি দেখতে চায় না। ধন্যবাদ।
  • চোর বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-৩০ ০৪:০৬:১২
    ব্যাপারটা কে কিভাবে দেখে তার ওপর নির্ভরশীল।প্রথমত, ভালোবাসা থেকেই বিয়ে হতে হবে, এই আশায় থাকলে অনেক মেয়ে বা ছেলেকেই চিরকুমার/কুমারী থাকতে হবে। প্রেমের বিয়ে যে settled marriage এর চাইতে বেশি সুখের হবে, তারও কোন গ্যারান্টি নাই।
    Matchmaking জিনিসটা খারাপ না। কিন্তু আমরাই এটার অপব্যবহার করি।
    আমার প্রবাসী বন্ধুরা, যারা বুদ্ধুরাম হয়ে সারা জীবন career নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, কোন মেয়ের সাথে ঘনিষ্ট হতে পারেনি, তাদের মেয়ে খোজার দুরবস্খা দেখে কান্না পায়। এক একবার দেশে আসে, আর যাওয়ার সময় সেই খালি হাত। পছন্দের সমস্যা ছেলে মেয়ে দুইদিক থেকেই। অনেক এলেবেলে টাইপের মেয়ের মা ও মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজী হন না।
  • আস্তমেয়ে বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-৩০ ০৪:০৬:৫৫
    ম্যাচমেকিং পুরোটাই খারাপ না, অনেক সময় অন্য কিছু ক্যাটালিস্ট হলে ভাল হয়।
    তবে দেশের প্রত্যন্তঅঞ্চলে, এমনকি শিক্ষিত অনেকের মাঝে 'মেয়ে' দেখার নামে যা চলে... সেটা স্রেফ নারী নির্যাতন ছাড়া আর কিচ্ছু না।
  • চোর বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-৩০ ০৪:০৬:১৩
    আস্ত, তুমি বিয়া করবা কবে? ঘটকালির দায়িত্বটা আমারে দিতে পারো। যৌতুকের লিস্টিটা ছোট কইরা দিমুনে।
  • চোর বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-৩০ ০৫:০৬:৪৪
    আর কোনো পাত্রী থাকলেও আওয়াজ দিয়েন।
  • সাইফ ভুইয়া বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-৩০ ০৬:০৬:৪৩
    আমার কাছে বিয়ের ভাল বয়স তো ২৫ কিন্তু অনেকেই এই বয়সটায় বিয়ে কর্মটি সারতে পারে না। পড়াশোন, প্রতিষ্টা, আর্থিক সংকটের কারনে তাদের জন্য পরিবার মেয়ে দেখার কাজটি করে। আমাদের সামাজিক পদ্ধতির কারনেই মেয়ে দেখার কাজটি করতে হয় । মেয়ে বা ছেলে দেখার ব্যাপারে কল্যানকর হবে যিনি মধ্যস্খতা করবেন তিনি যদি প্রথমেই দুজনের বায়োডাটা পরষ্পরকে দিয়ে দেন। সমস্তরকম খোজখবর গুলি নিয়ে নেয়া জরুরী। যদি সব ঠিক থাকে তাহলে ছেলে মেয়ে দুজনের মাঝে কথা বলে নেয়ার একটি সুযোগ থাকা জরুরী। আমাদের দেশে হল্লা করে পাত্রী দেখার ব্যাপারটি নারী নির্যাতনের একটি পন্থা
  • আরাফাত রহমান বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-৩০ ০৭:০৬:০৭
    মেয়ে দেখার নামে যেমন নারী নির্যাতন কাম্য নয়, তেমনি ফোনে কথা বলে ডেটিং এ গিয়ে একান্ত হবার ব্যাপারটি সমাজ ব্যবস্খায় বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। পশ্চিমা সমাজে যে ভাবে হয়েছে।
    আমার মনে হয় মধ্য পন্থা অবলম্বন করা উচিত। মেয়ে দেখতে যাবে ছেলে নিজে। সেখানে অভিভাবকদের মেয়ে দেখার কোন প্রয়োজনই নেই। আর ছেলে যখন মেয়ে দেখতে আসবে তখন মেয়েও ফ্রি ফ্রি ছেলে দেখে রাখবে। অভিভাবকরা শুধু বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করবে। তাদের আর কাজ কী?
(প্রথম প্রকাশ সামহোয়্যার ইন ব্লগ ২০০৬-০৬-৩০)

সমবয়সীদের মাঝে বিয়ে - কিছু কথা



একটা সময় ছিল যখন বিয়ে শাদীর জন্য ৫-১০ বছরের ছোট মেয়ে ছাড়া চলত না। বয়স্ক লোকেরা কচি কচি বউ নিয়ে বড়াই করে ঘুরে বেড়াত। যে যত অল্প বয়স্ক বউ নিয়ে ঘুরতে পারবে তার ক্রেডিট তত বেশী।

ব্যাপারটা বোধকরি পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা থেকে এসেছে। পুরুষরা তাদের ক্ষমতা ফলাতে ভালোবাসে। অল্প বয়সী মেয়েদের শাসন করতে সুবিধা। মেয়েদের চিন্তা ভাবনাকে mold করে তাদের সাথে যাতে তাল মেলায় সেটা নিশ্চিত করা যায়। মহানবী (সাঃ) তার চেয়ে বেশী বয়সী কাউকে বিয়ে করেছিলেন এই তথ্যটাকে তার ব্যবসায়ী বুদ্ধির চেয়ে বেশী কিছু নয় দাবী করে পুরো ব্যাপারটাকেই অগ্রাহ্য করেন পুুরুষতান্ত্রিক সমাজের লোকেরা। তাই কিশোরী মেয়েদের বিয়ে করতে একদমই বাঁধে না মাঝবয়সী কারো।

যদিও তুলনামূলক অল্প বয়সে বিয়ে করার ফলে সেসমস্ত নারীরা নিজস্ব বুদ্ধিবিহীন, সংসার সামলানোয় ব্যাস্ত, সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র বই আর বেশী কিছু হতে পারেন না। তারপরও সঙ্গত কারনেই সেমস্ত পরিবার টিকে থাকার সম্ভাবনা বেশী থাকে। আর তাই এই অল্প বয়সী বিয়ে করার প্রথা চলে আসতে থাকে। আমি তো এযুগেই এই ধরনের লোক দেখেছি যারা অনেক শিক্ষিত হয়েও অত্যন্ত অল্প বয়সী না হলে বিয়ে করবেন না এরকম গোঁ ধরে থাকেন।

ধীরে ধীরে শিক্ষিত মানুষের মধ্যে কম ব্যবধানে বিয়ে করার প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেননা বিয়ের নতুন মানে সবার কাছে ধরা দিচ্ছে - বিয়ে মানে শুধু একজন প্রজননক্ষম সজ্জাসঙ্গী নয়। এর মানে আরো অনেক ব্যাপক। স্ত্রী একজন জীবন সঙ্গিনী। সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, সফলতা-বিফলতা সবকিছুতে তার রয়েছে সমান ভাগীদার হবার অধিকার। আর তাই পশ্চিমে মনের মিল থাকাটাই সবচে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয় আর কিছু নয়।

সমবয়সীদের মাঝে বিয়ে ব্যাপারটা ইদানীং খুব ঘটছে। একই সাথে পড়াশুনা, চাকরী বাকরী করতে গিয়ে কাছাকাছি আসা, মনের মিল খুঁজে পাওয়া এবং শেষে ঘর বাঁধা এভাবে হয়ে আসছে ব্যাপারগুলো। অনেক অভিভাবক আবার মেনে নিতে পারেন না ব্যাপারটা। তখন ঘটে সর্ম্পক বিচ্ছেদের মতো হৃদয়বিদারক ঘটনা।

আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, সমবয়সী স্ত্রীর কাছ থেকে সবকিছুতে যে রকম সাপোর্ট পাওয়া যায় সেরকমটা একটা অল্প বয়সী মেয়ের কাছ থেকে আশা করা মুশকিল। সবকিছুতে যে বন্ধুর মত শেয়ার করা, নিজের ভাললাগার বিষয়গুলোর সাথে একই এজগ্রুপের স্ত্রী সাথে মিল খুঁজে পাওয়া এগুলো আসলেই সম্ভব হয়না স্ত্রীর এজ গ্রুপ ভিন্ন হলে।

অবশ্য যুক্তি বুদ্ধি গড়ে ওঠা একটা মেয়ের নিজস্ব চিন্তা ভাবনাকে সম্মান করবেন এমন পুরুষ পাওয়াও সমস্যা। মেয়েরা করবে ঘরের কাজ আর পুরুষ শাসন করবে সংসার - এই ধারনা আমাদের দেশ তো বটেই এমনকি ইন্ডিয়া, চীন এসব দেশেও প্রচলিত। অনেক পুরুষ হয়ত সমবয়সী বিয়েকে খারাপ হিসেবে দেখে না। কিন্তু সেই ব্যাক্তিই যখন সমবয়সীকে বিয়ে করে তখন সব কিছুতে স্ত্রীর খবর দারী পছন্দ করে না।

অবশ্য এই সমস্ত ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা খুব বেশী থাকে। পুরুষের তুলনায় মেয়ে বেশী বুঝলে বা খবরদারী করতে চাইলে সেটা পুরুষশাশিত সমাজে বেড়ে ওঠা স্বামীর পচ্ছন্দ হয়না। এ ধরনের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাও খুব বিরল নয়।


কারন যাই হোক: আপনি এই সমবয়সী বা নারীর বয়স পুরুষের চেয়ে বেশী এই ধরনের বিয়ের ব্যাপারটাকে কিভাবে দেখেন?


মন্তব্যসমূহ

  • স্বরহীন বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ০৩:০৬:৫৮
    আরও কিছু লিখার ছিল মনে হয়। পরে এডিট করে নিয়।

    আমার কথা হল, এজ যাই হোক, বোঝা পড়া টা হল বড় বিষয়।

    তবে ১-২ বছরের জুনিয়র দের সাথে তো আমাদের অনেক তফাৎ চিন্তা ভাবনায়। আর ৫-৭ বছর। নো ওয়ে।

  • ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ০৪:০৬:২২
    মাহবুব ভাইয়া, আপনার লিখাটা আমার খুবই ভালো লেগেছে এবং এটা একটা সময়োপযোগী লিখা। লিখায় কিছুবিষয় আসতে পারতো। বাংলাদেশে সম বয়সী বিয়ের ব্যাপারে অভিভাবকদের পুরোনো চিন্তা-ভাবনা , মেয়ে দেখানোর নামে মেয়েদের পুতুল বানানো এইসব আর কি! আমি ব্যক্তিগতভাবেও এই সমস্যার শিকার, তাই আশা করছি ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আপনার কাছ থেকে আরো জোরালো মন্তব্য পাবো। ধন্যবাদ।

  • এস এম মাহবুব মুর্শেদ বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ০৫:০৬:৪১
    ইফতেখার আপনি তো আরও বড় আকারের ছবির কথা বলছেন। সব সমস্যা তো আর একসাথে তুলে ধরা সম্ভব নয়। আমি বিরুদ্ধ মত টা জানতে চাচ্ছিলাম এখানে। অন্যান্য বিষয় নিয়ে হয়ত ভবিষ্যতে লেখব।

  • হযবরল বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ০৫:০৬:২৩
    লিখাটা আরো গুছিয়ে ফেলো। খুব ভাল লিখা । এই বিষয় এখন সময়ের দাবীতে আমাদের ডাইনিং ডিসর্কোসের অংশ হওয়া উচিত।

  • এস এম মাহবুব মুর্শেদ বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ০৫:০৬:০৪
    স্বরহীন, অবশ্যই মনের মিল বড় কথা। কিন্তু বয়স পার্থক্যের কারনে সেটার হবার সম্ভবনা কম। আপনি যা বললেন, ঠিকই বলেছেন।

  • কৌশিক বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ০৬:০৬:২৩
    একটা পয়েন্ট বোধহয় লেখা হয়নি। অতীতকালে ৭/১০ বছর ডিফারেনস মেইনটেইন করার ব্যাপারে একটা যুক্তি দেখানো হতো যে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের একটিভ সেক্স লাইফ ১০ বছর আগেই শেষ হয়ে যায়।

  • মুক্তচিন্তা (প্রা:) লি: বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ০৭:০৬:১৫
    ভাল ভাল খুব ভাল

  • সাদিক মোহাম্মদ আলম বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ০৭:০৬:৩৯
    দোস্ত মুর্শেদ। আমি পয়সার দুইপিঠ দেখতে ভালোবাসি। তাই আমি তোর লেখার সাথে একমত হলেও বিপরীত যুক্তি নিয়ে তর্ক করতে রাজি আছি।

    আমি একমত না, বয়সের পার্থক্যের কারনে মনের মিল হওয়ার সম্ভাবনা কম। কেন সেই যুক্তিতে পরে আসি। তুই অনলাইনে আসলে আওয়াজ দিস। আমি আপাতত ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছি।

    পরে জমজমাট চায়ের কাপে ঝড় তোলা যাবে। মৌটুসীকে (মুর্শেদের বৌ, আমার ক্লাসমেট ও বন্ধু) শুভেচ্ছা জানাইস।

  • আস্তমেয়ে বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ০৮:০৬:৫০
    বয়সটা কি আসলেই কোন ব্যপার? চিন্তা চেতনার মিল হল আসল ব্যপার। সত্যি বলতে কি ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের আমি গাড়ি, ফুটবল না হয় ব্যান্ড ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে উৎসাহী হতে দেখি নি।

  • মদন বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ০৮:০৬:০৫
    আমিও সামান্য দ্বিমত পোষন করছি
    আমার মনে হয় বই ৪-৫ বছরের ছোট হলেই বেশি ভাল। ভাল সংসার ভাগ্যের ব্যপার, তারপরেও নিজেদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর জন্য মনে হয় এটা প্রয়োজন।
    তবে...
    যে ভাগ্যের খেলা বড়ই অদ্ভুত। যেকোন ভাবেই সুখ অথবা দু:খ আসতে পারে।
    কাজেই...
    বিয়ে করলেই হলো, বাকিটা কপালের ব্যপার।

  • জ্বিনের বাদশা বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ০৮:০৬:৩০
    আসলে দুজনের টষনপড়ঢ়য়থষনমষব টাই তো মেইন ব্যাপার;
    কাজেই বয়সটা খুব বড় কোন ফ্যাক্টর না সবসময়।
    বরং পার্সোনালিটি, ব্যাকগ্রাউন্ড - এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।

    এটা শুধুমাত্র জীবনসঙ্গী না, বন্ধুদের বেলায়ও সত্য।
    আমার খুব ভাল একবন্ধু আমার পাঁচ বছরের ছোট, আবার আরেকজন আমার চেয়ে পঁচিশ বছরের বড়।
    এদের দুজনের সাথেই ওয়েভলেংথ (পিয়াল ভাইর ইন্টারভিউ থেকে এই শব্দটা ধার করলাম) ম্যাচ করে; হেভী জমে আড্ডা, ঘন্টার পর ঘন্টা।
    এই ওয়েভলেংথ ম্যাচ করাটাই জরুরী।

    তবে মুর্শেদ, সংসার সামলানোয় ব্যাস্ত মেয়েদের (অর্থ্যাৎ গৃহিনীদের) কে আমরা মনে হয় মাঝেমাঝে একটু বেশীই ছোট চোখে দেখে ফেলি;
    তাদেরকে ভালভাবে না জেনেই জেনেরালাইজড মন্তব্য করি যে তারা নিজস্ব বুদ্ধিতে স্বয়ংসম্পুর্ণ না, অথবা তারা 'সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র'। এই শব্দগুলো চটকদার মানি, কিন্তু আমাদের জনগোষ্ঠীর একটা বিশাল অংশের জন্য খুবই অপমানজনক।

    এখন পৃথিবীজুড়েই ঘরের কাজের মর্যাদা দেয়ার একটা আন্দোলন চলছে।
    উন্নতদেশগুলোতে যেখানে সাধারণ জীবনযাপনের জন্যই প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়, সেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যার আয় কম সে ঘরের দেখাশোনার দ্বায়িত্ব নিচ্ছে (যখন একজনকে ঘরের দ্বায়িত নেবার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়);

    কর্পোরাইজড সোসাইটির ইভোল্যুশনের সাথে সাথে একসময় হয়ত ঘরের কাজ করা মানুষের সংখ্যা খুব কমে যেতে পারে।
    তখন সরকারগুলো হয়ত 'ঘরের-কাজ ভাতা' টাইপের স্কিম চালু করবে (এটা আমার একটা 'ওয়াইলড গেস')।
    প্রসঙ্গত, জাপানে সাধারণত জুন আর ডিসেম্বরে কোম্পানীগুলো কর্মচারীদেরকে বেশ মোটা অংকের বোনাস দেয়; তখন সবার মাঝে উৎসব উৎসব ভাব থাকে।
    ইদানিং জাপানী গৃহিনী মহিলারা দাবী তুলেছে যে স্বামীদেরকে বোনাসের একটা অংশ ঘরের কাজের বোনাস হিসেবে টাদের হাতে তুলে দিটে হবে। ব্যাপারটা আমার কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে।

  • এস এম মাহবুব মুর্শেদ বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ০৯:০৬:০৪
    আমিও কিন্তু বার বার বলছি মনের মিলটাই হল বড় কথা। বয়সের পার্থক্য থাকলে মনের মিল ঘটতে স্বাভাবিক ভাবেই সমস্যা হবে। আমি যে ধরনের কালচারাল এন্ড সোস্যাল এনভায়রনমেন্টে বড় হয়েছি আমার পার্টনার সেই গ্রুপের হলে আমি সাচ্ছন্দ্য বোধ করব। এটাই স্বাভাবিক।

    সাদিক আরেকটা ব্যাপার হল এজগ্রুপ। ১/২ বছরের পার্থক্য থাকলেও একই এজগ্রুপের হওয়া সম্ভব। জিনের বাদশা ওয়েভলেন্থের কথাটা অবশ্য ভাল বলেছেন।

  • এস এম মাহবুব মুর্শেদ বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ০৯:০৬:১৭
    কৌশিকের পয়েন্টার বিপক্ষে আমার কোন সায়েন্টিফিক প্রমান নেই। এই যুক্তিটাকে সম-বয়সী-বিয়ে-বিরোধী পক্ষ খুব কাজে লাগায়।

    এর বিপক্ষে আমি যেটা বলি সেটা হল, প্রথমত মেয়েদের সেক্সের ব্যাপারটা আসে মূলত ভালোবাসা থেকে - মনের ভালোলাগাটা সেক্ষেত্রে একটা বড় ব্যাপার। ছেলেদেরে সেক্স মূলত শারীরিক ব্যাপার - ক্ষুধা পাবার মত শরীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়া। যেহেতু যুগ যুগ ধরে ভিন্ন বয়সের সেটল ম্যারেজের যে প্রক্রিয়া চলে আসছে সেখানে প্রেম কতটুকু ছিল সেটা সন্দেহজনক, সেহেতু মেয়েদের সেক্স কমার ব্যাপারটা কতটুকু গ্রহনযোগ্য সেটাও একটা প্রশ্নের সম্মূখীন হয়। আর কে না জানে সেক্স লাইফ এক্সটেন্ড করাটা এখন আর অসম্ভব কোন ব্যাপার না।

  • এস এম মাহবুব মুর্শেদ বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ০৯:০৬:৫০
    জীনের বাদশা, কর্পোরেট সোসাইটির এভুলিউশন নিয়ে যেটা বললেন সেটা অনেক আগেই ঘটে গেছে আমেরিকাতে। ঘরের কাজের মানুষ যে কমে গেছে সেখানে এটা এখন এভিডেন্ট।

  • অপ বাক বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ০৯:০৬:৪৪
    অন্য একটা বিষয় পড়লাম যা পড়ে একটু আশ্চর্য হয়েছি বলা যায়, পুরুষের যৌনচাহিদা এবং যৌন ক্ষমতার সর্বোচ্চ সময় সীমা হচ্ছে ২২ থেকে ২৮ বছরের ভেতবে, অন্য দিকে মেয়েদের যৌন ক্ষমতা ও চাহিদা শীর্ষে পৌছায় ৩৫ বছরের দিকে, সুতরাং যদি আদর্শ কম্বিনেশন হতে হয় তাহলে তা হবে ছেলে ছোটো মেয়ে তার ১০-১২ বছরের বড়-
    কিন্তু মানসিকতার মিল বলে যে বিষয়টা আসছে তার চেয়ে বড় কোনো বিষয় নেই। মেয়েরা সামাজিক ভাবে পরিপককতা পায় অল্প বয়েসে, কিন্তু সেই পরিপককতা একটা সময় এসে সমান হয়ে ােয়, একজন ১৯বছরের মেয়ের সাথে ১৯ বছরে ছেলের তুলনা করলে সেটা ভুল হবে, এখন যদি ২৬ বছরের মেয়ের সাথে ২৬ বছরের ছেলের তুলনা করা হয় তাহলে তাদের মানসিক পরিপককতার সীমা কাছাকাছি- এবং ৩০এ এসে বোধ হয় এই সীমাটাতে ছেলেরা এগিয়ে যায়।
    তাই যারা ৩০ এর পর বিয়ে করছে তাদের জন্য ৪ -৫ বছরের বয়সের পার্থক্য কম না কিন্তু যারা ২৩-২৪ এ বিয়ে করছে তাদের জন্য মেয়ে দরকার ১৮ -১৯এর, আবার যারা ২৬-২৭এ বিয়ে করছে তাদের জন্য সমবয়সী মেয়ে হলে মানসিকতার মিল হয় ভালো। আর উর্ধ ৩৫এ গিয়ে কেউ যদি ২২ বছরের মেয়ে বিয়ে করে তাহলে সেটা রীতিমতো শিশুনির্যাতন হয়ে যায়। তবে উর্ধ ৩০ এ ৫=৭ বছরের ব্যাবধান ভালো।

  • এস এম মাহবুব মুর্শেদ বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ০৯:০৬:২০
    অপ বাকের বিশ্লেষন ভাল লাগল। হয়ত সামাজিক হিসাবে আপনার থিওরী কাজে লাগতে পারে। কিন্তু ধরুন সমস্ত হিসাবের বাইরে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে পরস্পরকে পছন্দ করল আর মেয়েটার পরিবার “শুধুমাত্র“ ছেলেটা সমবয়সী বলে বেঁকে বসল। এইক্ষেত্রে কি বলবেন?

  • অপ বাক বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ০৯:০৬:৩২
    কিছুই না আমি হইলে সোজা কোর্টে বিয়া করতাম

  • আস্তমেয়ে বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ০৯:০৬:৪০
    সমবয়সী বা বয়সে ছোট ছেলেদের বিয়ের ব্যপারটা যে সামাজিক ট্যাবু, ওটা কাটাতে হবে!

  • এস এম মাহবুব মুর্শেদ বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ০৯:০৬:২৮
    শুধুমাত্র এই সামাজিক ট্যাবুর কারনে আমার একজোড়া বন্ধুর তাদের পরিবারকে রাজী করাতে ৪ বছর লেগে গেল। বিয়ে সময়ও মেয়ের মা বাবা উষ্মা প্রকাশ করতে ছাড়েনি।

    আমি খুশী যে আমাকে এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি।

  • মাশীদ বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ১০:০৬:১০
    আমারো কিছুটা হলেও এই ট্যাবু সহ্য করতে হয়েছে তবে অনেকের থেকে অনেক কম। আমিও মনে করি মনের মিলই বড় - সে বয়স যা-ই হোক। তবে ব্যক্তিগতভাবে প্রেমে পড়ে বিয়ে করেছি ক্লাসমেটকে আর সবসময়ই দেখেছি যে একই বয়সের হওয়ায় াপ ফথধপন ঢ়মশমলথড় ঢ়ময়ৎথয়মসষঢ় আর তাই সাপোর্ট করাটা অনেক স্বতস্ফুর্ত হয়। কোন অসমবয়সীর সাথে ব্যক্তিগতভাবে প্রেমের সম্পর্ক না থাকায় ঠিক তুলনা করতে পারছি না। কিন্তু আমার নিজস্ব ধারণা হচ্ছে, থষী ড়পলথয়মসষঢ়ভমহ মঢ় ৎষমক্ষৎপ আর সেটা যেকোন বেসিসেই হতে পারে। বয়সটা খুব বিশাল ফ্যাক্টার নাও হতে পারে।

  • সাইফ ভুইয়া বলেছেন:
    ২০০৬-০৬-২৯ ২০:০৬:১৮
    অপ বাক এর তথ্য প্রমান কিন্তু খুবই ভাল হয়েছে। যা আমার কাছে যুক্তিগ্রাহ্য মনে হয়েছে। ধন্যবাদ অপ বাক

  • বাংলার CUPID বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১৪ ০২:০৭:৫৮
    এক বড় আপুরে খুব পসন্দ হইছিল আমার। আগে জানলে তে হিহিহিহি

  • কনফুসিয়াস বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১৪ ০২:০৭:৫৯
    হুম, মহা ঝামেলা দেখি!
    ভাইসকল, সবাই আমার লাইগা মিলাদ পড়েন। :-(

  • কনফুসিয়াস বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১৪ ১১:০৭:১৮
    পড়ছেন সবাই?

  • চোর বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১৪ ১২:০৭:০৩
    ধর তক্তা, মার পেরেক। বাকীটা আল্লাহর হাতে। বয়স টয়স কোন ফ্যাক্টর না

  • খুশবু বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১৪ ১২:০৭:৫৩
    সমবয়সী দুজন ক্লাসমেট বিয়ে করে একজন আরেকজনকে তুই তোকারি করছে ।শুনতে ভাল লাগেনা । সমবয়সী রা একেঅপরের সাথে সম্মান দিয়ে কথা বলে না।

  • কনফুসিয়াস বলেছেন:
    ২০০৬-০৭-১৪ ১৪:০৭:৩৯
    খুশবু,
    তুই - খুব মিষ্টি আর আপন একটা শব্দ। দেখতে হবে আপনি কোথায় এর প্রয়োগ ঘটাচ্ছেন।
    আর, সম্মানটা মনের মধ্যে থাকে, সম্বোধনে না।


(প্রথম প্রকাশ: সামহোয়্যারইন ব্লগ ২০০৬-০৬-২৯)

হ্যাঁ আমিই রেসিস্ট



(এই লেখার কোন ঘটনা এবং চরিত্র মোটেও কাল্পনিক নয়। ঘটনাচক্রে কারো সাথে মিলে গেলে সেটা মোটেই কাকতালীয় হবে না।)

সেনারিও ১:
ইন্ডিয়ান ছেলে রাকেশ অনেক রাত করে বাড়ি ফিরছে। হঠাৎ করে একদল মাতাল মেয়ে তাকে ঘিরে ধরল। তাদের কথা হল চল আমাদের সাথে। রাকেশ বলল না না আমি দুঃখিত, আমার কাজ আছে। তখন আরেকটা বলল শোন আমার বুকে হাত দাও। রাকেশ আবার বলল দুঃখিত। একজন বলে উঠল, 'ফ... ইউ'।

সেনারিও ২:
গাগান একজন শিখ ছেলে। কিন্তু দাঁড়ি টাড়ি মিলিয়ে তাকে এক মুসলিমের চেয়ে কম মনে হয় না। প্রায়ই রাস্তা দিয়ে আসার সময় হুশ করে গাড়ী চালিয়ে চলে যায় কিছু পোলাপান, যেতে যেত শুনিয়ে যায় অমৃত বানী - 'ফ... ইউ'।

সেনারিও ৩:
সুমন একটা গাড়ী কিনবে। ক্রেইগলিস্ট নামের একটা ওয়েবসাইট থেকে একটা গাড়ীর অফার দেখে ফোন করল। আমেরিকানটার সাথে একটা দুটা কথার পর গাড়ীর মাইলেজ কত জিজ্ঞেস করতেই 'হাই মাইলেজ' বলে ঠাস করে ফোন রেখে দিল। রাস্তায় কয়েকবার তাকেও 'ফ... ইউ' জাতীয় কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার আকস্মিকতায় সুমন হা হয়ে গেল।

সেনারিও ৪:
সুমন আর মৌটুসী শুক্রবার রাতে দাওয়াতে গিয়েছিল। বাই-সাইকেলে করে রাত বারোটা নাগাদ ফিরার পথে তাদের নিজেদের এপার্টমেন্টে ঢোকার পর একদল ছেলের সাথে দেখা। 'হোয়াসসাপ' এর বদলে সুমনও উত্তর দিল 'হেই হোয়াসসাপ'। এক ছেলে বলে উঠল 'ইউ আর গনা গেট বিটেন নাও'। সুমন ঠিক রিয়েলাইজ করতে করতে বাইসাইকেলে বেশ কিছুদুর এগিয়ে গেছে। সুমন ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতেই সেই ছেলেটা হাত তুলল - এমন একটা ভঙ্গিতে যেন কিছুই হয়নি।


ভেঙ্গে পড়ে সবকিছু - শিক্ষা, মানবতা বোধ, জীবন নিংড়ে নেয়া মূল্যবোধ - সব সব কিছু। অসীম শুন্যতা থেকে ধেয়ে আসতে দেখি একটি বিরক্তিকর মাছি। বার বার কাছে চলে আসে। প্রবল মাথা ঝাকাঁই, ঝেড়ে ফেলতে চাই - পারিনা। আঘাত করি, সরাতে চাই - যায়না। প্রবল বেগে মাথা ঝাঁকাই, আর পাগলের মত বলতে থাকি - হ্যাঁ হ্যাঁ আমি - আমিই রেসিস্ট।

(প্রথম প্রকাশ সামহোয়্যার ইন ব্লগ ২০০৬-০৬-২৭)

গায়ে হলুদের ছড়া



আমার স্ত্রীর এক বোনের বিয়ে। অনুরোধে ঢেঁকি গিলে একটা ছড়া লিখে দিতে হলো। ধরে নেই তার নাম মিশা। মিশা এখানে মাস্টার্স করছে। বিয়ের জন্য দেশে যাচ্ছে।

মিশার গায়ে হলুদ
=============
মিশা মোদের আসবে হেথায়
সাত সমুদ্র ঘুরে,
এমন মজা কোরব, তোমার
প্রানটি যাবে ভরে।

নাচব মোরা গাইব মোরা
নতুন চেনা সুরে,
মিশা মোদের পরবে নতুন
হলুদ শাড়ি ডুরে।

তোমরা যত বন্ধু আছো
খুব কাছে ও দুরে,
রইলো দাওয়াত চলে এসো
এই আমাদের ভিড়ে।
=============

বলুন তো ব্লগার ভাইয়েরা কেমন হোল? কারো কোন সদুপদেশ থাকলে তাও দিতে পারেন।


(প্রথম প্রকাশ সামহোয়্যার ইন ব্লগ ২০০৬-০৬-২৩)

প্রিয় মিউজিশিয়ান: Joe Satriani



গীটার যখন বাজাতে শুরু করি তখন ঢাকায় ক্রেজ চলছে মেটাল মিউজিকের। আসলে শুধু ঢাকায় না বরং সারা বিশ্ব জুড়েই। আমার বন্ধু হাসান, না না আকের্র হাসান নয় - অনেক সম্ভাবনা নিয়ে হারিয়ে যাওয়া হাসান - সে ছিল আমার গীটার শেখার অনুপ্রেরনা। এবং গাইডও বলা যায়।

গীটার ধরেছি আমি বহু দেরীতে। ইন্টারমিডিয়েটের শেষের দিকে। বাচ্চু জেমসের গানগুলো তখন একটু একটু বাজাতে পারি। আর হাসান মাঝে মাঝে কিছু লেসন দিত। ওর সাথে থেকে থেকে আমি তখন মেটালিকা, আয়রন মেইডেন, মেগাডেথ এইসব শোনা শুরু করেছি। একটু একটু চুল বড় রাখা শুরু করেছি। সিগারেট টানতে টানতে মোটামুটি চেইন স্মোকারের পযার্য়ে চলে গেছি।

এমন সময় পরিচয় সবুজ নামের এক ছেলের সাথে। আমার সবসময়ের ফ্যান আমার ছোট ভাই। আমি যাই করি সে সেটাতে মুগ্ধ। আমার ছোট ভাই বোধকরি কারো কাছে গল্প করেছিল যে আমি খুব ভাল গীটার বাজাই। সেটা সবুজের কানে পৌছালে আমার ভাইয়ের সাথে আমাদের বাসায় আসে। এসে তো সে টের পেল আমি তখনও নাদান। তো সবুজ তখন উলটো আমাকে কিছু জ্ঞান ট্যান দান করল। সবুজ তখনই খুব ভাল বাজাত। আর ও শুনত মূলত ইনসট্রুমেন্টাল জেনেরি।

আস্তে আস্তে সবুজের সাথে ঘনিষ্টতা বাড়ল। তখন সবুজ আমাকে কিছু গান শুনতে দিল জো স্যাটরিয়ানির। আরো কিছু ভাল গীটার প্লেয়ারের মিউজিকের সাথে পরিচয় তখন। কিন্তু জো এর মিউজিক সত্যিই আমার হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল।

জো এর গীটারে পর্দাপন ১৪ বছর বয়সে যখন জিমি হ্যানড্রিক্স নামে একজন গীটার লিজেন্ড মারা যান তখন। জো ফুটবল খেলছিল - ক্যাপ্টেনের কাছে এসে বলল আমি আর ফুটবল খেলবো না - গীটার বাজাবো। সেই তার শুরু।

বিভিন্ন ধরনের গীটার টেকনিকে জো হচ্ছে অসাধারান। বেশ কিছু নতুন টেকনিকের আবিষ্কারক ও সে। তার ছাত্রদের মাঝে অনেক নামকরা লোকও আছে - স্টিভ ভেই থেকে শুরু করে কার্ক হ্যামেট (মেটালিকা)। জো এর নামে বিখ্যাত গীটার কোম্পানী আইবানেজের একটি গীটার সিরিজও আছে। এখন সে ক্যালিফোনির্য়ার কোন একটি কলেজে গীটার বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা দিয়ে থাকে।

জো যখন শুধু গীটার সোলো দিয়ে একটি এলবাম করার চিন্তা করে তখন এটা কিন্তু এক বড়সড় ব্যতিক্রম ছিল। কোন কথা ছাড়া শুধু মাত্র গীটার মিউজিক কতজন শুনবে সেটা ভেবে অনেক প্রডিউসার এগিয়ে আসতে সাহস পাননি। শেষ পর্যন্ত তার ডেমো এলবাম শুনে একজন প্রডিউসার সাহস করে এগিয়ে আসেন। এরপর বাকিটা ইতিহাস।

আসলে প্রযুক্তির সহজলভ্যতা এবং সস্তায় এলবাম বের করবার ক্ষমতা এই ধরনের পরীক্ষামূলক কাজ করবার সুযোগ করে দিয়েছে। জিমি হ্যানড্রিক্স সহ আরো অনেকে কিন্তু মূলত গীটার শিল্পি ছিলেন। কিন্তু এরকম পদক্ষেপ নিতে পারেননি। তারা জন্মেছিলেন ভুল সময়ে।

জোয়ের বৌ রুবিনা কে নিয়ে কম্পোজ করা বেশ কিছু সফট মিউজিক আছে। অসাধারন সেগুলোর কম্পোজিশন। এর মধ্যে Rubina's Blue Sky Happiness, Always with you, always with me সহ আরো অনেক গুলো রয়েছে। ইদানীং বাংলা কিছু নাটকে জো এর মিউজিক গুলো মেরে দিতে দেখলে খুব খারাপ লাগে।

আমার গীটার হারিয়ে গেছে। হারিয়ে যায়নি জো স্যাটরিয়ানি। এখনও সুযোগ পেলেই মেতে থাকি জো এর মিউজিক নিয়ে।


ওয়েবসাইট
http://en.wikipedia.org/wiki/Joe_Satriani
http://www.satriani.com/


(প্রথম প্রকাশ সামহোয়্যারইন ব্লগ ২০০৬-০৬-২০)

এশিয়ান এডভাইজারদের সমস্যা



আমার মনে হয় আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শতকরা ষাট ভাগ প্রফেসরই এশিয়ান। মূলত: এদের দ্বারাই ইউনিভাসির্টি গুলো চলে। এশীয়া বলতে আমি মূলত ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্থান এবং কোন কোন ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা বুঝাচ্ছি।

একটা তুলনা মূলক চিত্র সমস্যাটা ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে। তাই আগে উদাহরন টেনে বলি আমেরিকান প্রফেসরদের কথা।

আমার স্ত্রী মৌটুসীর প্রফেসর আমেরিকান। এই সামারে তাদের রিসাচের্র কিছু কাজ করার কথা ছিল। প্রফেসর ব্যাটা গিয়েছিল ফ্রানসে। তাই এদিকে রিসাচের্র অগ্রগতি খুব ইমপ্রেসিভ না। সেই প্রফেসর ফিরে এসে বুঝল অবস্থা। তাই ওদের ডেকে কিছু রিসার্চ সম্পকির্ত সমস্যা সমাধান করতে বলল। উইকএন্ডে সমাধান করার কথা। হঠাৎ জিজ্ঞেস করল আচ্ছা তোমরা উইকএন্ডে কোথাও ঘুরতে যাচ্ছো নাতো? মৌটুসী উত্তর দিল যে হ্যাঁ তার সেডোনা যাবার ইচ্ছে ছিল। সেটা শুনে সে ব্যাটা তার কাজ কমিয়ে অধের্ক করে দিল। এটা হলো অনেক গুলো ভাল ব্যাপারের একটা।

যখন এই ইউনিভাসির্টিতে আপ্লাই করি তখন আমার রোবোটিক্স বা মেকাট্রনিক্স পড়ার ইচ্ছা এমনটা জানিয়ে ছিলাম। এখানকার রোবোটিক্সের প্রফেসর খুব ভাল মানুষ কিন্তু পযার্প্ত পরিমান ফান্ড নেই তার। সুতরাং আমাকে অলটারনেট কিছু খুঁজতে হয়। আর তখনই এই পাকিস্থানী প্রফেসরকে চোখে পড়ে। মেইল করে ফোন করে যোগাযোগ করে বুঝতে পারলাম ব্যাটার ছাত্র দরকার। আর আমার বাবা-মা তো আর দশটা বাঙ্গালী বাবা-মার মতো বলেই বসলেন, পাকিস্থানী মুসলমান তো নিশ্চয়ই ভাল হবে। তাই প্রথমদিন এসেই যখন ফান্ডিং পেয়ে গেলাম আমি ব্যাটার উপর যারপরনাই কৃতজ্ঞ হয়ে ছিলাম।

ধীরে ধীরে টের পেতে লাগলাম এই ব্যাটার সমস্যা। ব্যাটা একে তো খুব দেরী করে ছাড়ে ছাত্রদের তদুপরী তার ব্যবহার খারাপ। এক একজন ছাত্রের মাস্টার্স করতে গড় সময় লাগে তিন থেকে সাড়ে তিন বছর, যেখানে অন্যান্য প্রফেসরের কাছে লাগে দুই থেকে আড়াই বছর। আর পিএইচডি ছয় থেকে সাড়ে ছয় বছর। ব্যাটার ফান্ডিং ভাল, রিসার্চও ভাল বিষয়ের উপর করে, পাবলিশিং ভাল হয়। কিন্তু এতোটা সময়তো দেয়া সম্ভব না - তাইনা? তার উপর ব্যবহার খারাপ, টাকা দেয় তাই এমন ভাব করে যেন পুরো মাথা কিনে ফেলছে।

পুরোনো স্টুডেন্টদের ততদিনে যাবার সময় হয়ে এসেছে। আমাকে উপদেশ দিতে লাগল "পালাও, নিজেকে বাঁচাও"। কি করি আমি? দিশেহারা দিশেহারা লাগে। একদিকে একটা স্টেবল ফান্ডিং এর হাতছানি অন্যদিকে অনিশ্চয়তার ভয়।

তারপরও আমি চেষ্টা করলাম পালিয়ে যাবার। ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সব জায়গায় চেষ্টা করে বুঝলাম না হবে না পালানো আমাকে দিয়ে। এরমধ্যে আরো গোটা চারেক ছেলে এসেছিল। সবাই ইন্ডিয়ান - কিভাবে কিভাবে যেন অন্য প্রফেসরদের ম্যানেজ করে তারাও পালাল।

এর মধ্যে পুরোনোদের গ্রাজ্যুয়েশন শেষ। ল্যাবে শুধু আমি একা। ব্যাটা একটা কাজ করতে বলে আমি কিছুতেই বুঝিনা ব্যাটা কি চায়। যারা রিসার্চ করেন তারা হয়ত জানেন - ল্যাবে কো-অপারেশনটা গুরুত¡পূর্ণ। একলা একলা আর কি করা যায়?

এছাড়া আরো কয়েকটা ইন্ডিয়ান, বাঙ্গালী প্রফেসরদের কিচ্ছা শুনেছি। অনেকটা এরকমই তাদের গল্প। বিভিন্ন কোসের্ বিভিন্ন দেশের প্রফেসরদের সাথে ইন্টার্যাকশন হয়েছে - নন-এশিয়ান প্রফেসর অনেক উদার আর ভাল। হয়ত কারন হিসেবে সমাজবিজ্ঞানী শোমোচৌ হযবরলের পোস্টে যা বলেছেন সেটাই সত্যি। হয়ত আরো কিছু ব্যাপার স্যাপার আছে।

এখন মাঝে মাঝে মনে হয়। আমি কি একই জায়গায় গেলে একই রকম আচরন করব? আমি তো একই রকম পরিস্থিতি হয়ে এসেছি। কি জানি? সময়ই বলে দেবে হয়ত...


(হযবরলের পোস্ট 'দেশী এডভাইজর বনাম বিদেশী এডভাইজর' থেকে অনুপ্রানিত হয়ে)


(প্রথম প্রকাশ সামহোয়্যারইন ব্লগ ২০০৬-০৭-১৯)

এলিস আইল্যান্ড



হাডসন নদী এবং নিউইর্য়ক হারবারে ঢোকবার পথে এলিস আইল্যান্ড নামে ছোট্ট একটা দ্বীপ আছে। উনবিংশ শতকের শেষ থেকে বিংশ শতকের গোঁড়ার দিক পর্যন্ত এই দ্বীপের একটা বড় ভূমিকা ছিল ইমিগ্রেশন পোর্ট হিসেবে। বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ আসত এখানে আর তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হত তাদের শরীর স্বাস্থ্য ভাল কিনা। রোগী হলে তাকে সেখান থেকেই বিদায় নিতে হতো। সেই প্রথা আর নেই এখন। অসুখ-বিসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মানুষ এখন অনেকাংশে জয়ী। এলিস আইল্যান্ডে অবস্থিত সেই ইমিগ্রেশন অফিস এখন একটা মিউজিয়াম মাত্র।

বর্তমানে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে ভাল ভাল ছাত্ররা পড়তে আসে। এখানে তাদেরকে প্রমান করতে হয় তারা কতটুকু যোগ্য। মানসিক স্বাস্থ্য ভাল হলে তবেই তারা পায় বিভিন্ন রকম কাজ, স্কলারশীপ আর পড়াশুনা করে এগিয়ে যাবার সুযোগ। আর ইমিগ্রেশন অফিসারের ভুমিকায় অভিনয় করেন প্রফেসররা। যে টিকবে না তার জন্য সোজা দেশ।

প্রতিটি আমেরিকান ইউনিভাসির্টি যেন এক একটি এলিস আইল্যান্ড


(প্রথম প্রকাশ সামহোয়্যার ইন ব্লগ ২০০৬-০৬-১৭)

ওয়ালমার্ট - চরম পুজিঁবাদের অনন্য উদাহরন



ওয়ালমার্ট হচ্ছে আমেরিকার খুচরা জিনিস পত্রের একটি দোকান বা দোকান সমষ্টি মিলে একটি কোম্পানী। স্যাম ওয়ালটন কতৃর্ক ১৯৬২ তে স্থাপিত এই কোম্পানী এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে খুচরো জিনিসপত্রের সবচে বড় ব্যাপারী। সহজ কথায় বলতে গেলে ক্যাশ বা তরল টাকার মাপে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতী তেল কোম্পানী গুলোর দাপট বাড়ার আগে ২০০৪ পর্যন্ত রেভিনিউয়ের হিসাবে এটি ছিল সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান। আরো বিস্তারিত পাবেন এখানে: http://en.wikipedia.org/wiki/Wal-Mart

এই উত্থানের পিছনে কি আছে? এত টাকা আসে কোথা থেকে? তার আগে আসুন সাধারন ব্যবহারকারী হিসেবে একটা খুচরো জিনিসপত্রের দোকান থেকে আপনার প্রত্যাশা কি কি সেটা নথিবদ্ধ করা যাক:

১। জিনিসপত্রের দাম সস্তা হতে হবে। নিশ্চিন্তে নির্ভর করা যাবে যে দাম যেটা পাব সেটা বাজারের সবচেয়ে কম দাম। এ দোকান ও দোকান ঘুরে যাচাই করবার প্রয়োজন পড়বে না।

২। সব জিনিস এক জায়গায় পাওয়া যাবে। একেকটা জিনিসের জন্য একেক জায়গায় যাওয়া লাগবে না।

৩। হাতের কাছে থাকতে হবে। একটা জিনিস কিনতে শত শত মাইল পাড়ি দেবার মানে হয় না।

৪। চব্বিশ ঘন্টা দোকান খোলা থাকতে হবে। যখন সুবিধা তখন গিয়ে শপিং করতে চাই।

৫। কাস্টোমার সাভির্স ভাল থাকতে হবে। জিনিস পত্র নষ্ট হলে ফিরত দিতে হবে।

৬। জিনিস পত্র ভাল দিতে হবে। সস্তা জিনিসের পাশাপাশি দামী অপশনও রাখতে হবে।

ওয়ালমার্ট এই সবগুলো অপশন কাঁটায় কাঁটায় মিলিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। চীন, ইন্ডিয়া, তাইওয়ান এসব জায়গা থেকে সস্তায় প্রোডাক্ট বানিয়ে নিয়ে এসে নিশ্চিত করছে সবচেয়ে সস্তা দামের ব্যাপারটা। দুনিয়ার হেন প্রোডক্ট নেই যেটা ওয়ালমাটের্ পাওয়া যায়না। আমেরিকার প্রায় প্রতি ৫০-১০০ মাইলে একটা করে ওয়ালমার্ট পাওয়া যাবে। সুতরাং চাইলেও চলে যাওয়া যায় ওয়ালমাটের্। চব্বিশ ঘন্টা খোলা থাকে তাই যাওয়া যায় যখন তখন। সাভির্স তাদের মোটামুটি ভাল বলা যায়। আর জিনিস পত্রের ক্ষেত্রে ভাল জিনিস কেনার অপশনটা আপনার থাকে।

তাহলে ওয়ালমাটের্র প্রতি সবাই এত ক্ষ্যাপা কেন? কেন নিউইর্য়কে ওয়ালমাটের্র প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে?

আয়তনে মাইল খানেক লম্বা একেকটা ওয়ালমার্ট যখন প্রতিষ্ঠা করা হয় কোন একটা এলাকায় তখন সে এলাকার ব্যবসায়ীদের কান্নাকাটি লেগে যায়। কেননা আর কেও তো তখন ওয়ালমার্ট ছেড়ে তাদের দোকানে আসবে না। ওয়ালমাটের্র সাথে পাল্লা দেয়াও তো চাট্টিখানি কথা নয়। বিশ্বব্যাপী নেটওয়াকের্র মাধ্যমে সবচেয়ে কম দামে জিনিস দিতে পারে তারা। ছোট্ট দোকান টিকবে কি করে?

বাইরে থেকে জিনিস পত্র তৈরী করিয়ে নিয়ে এসে ওয়ালমার্ট আমেরিকা থেকে সব কাজ বাইরে বের করে নিয়ে যাচ্ছে। কমছে কাজ, কমছে শ্রমের দাম।

দাম কমাতে গিয়ে তাদের ছাঁটতে হচ্ছে কর্মচারীদের বেতন মাত্রা। শুনেছি এখানকার শ্রমিকরা ওয়েল পেইড নয়।

অতি সস্তায় জিনিস দিতে গিয়ে কিন্তু জিনিস পত্রের গুনগত মান একেবারে যাচ্ছেতাই হয়ে যাচ্ছে। দশটা জিনিস কিনলে দুটা খারাপ জিনিস বদলাতে আবার যেতে হয় ওয়ালমার্ট। আর একারনে একটু সচ্ছল যারা তারা বেশ অপচ্ছন্দই করেন ওয়ালমার্টকে।

এভাবে ওয়ালমার্ট গরীবদের নিম্নমানের জিনিস গছিয়ে দিয়ে হচ্ছে টাকার পাহাড় আর আমেরিকাকে করছে কৃত্রিম ভাবে অপরের উপর নির্ভরশীল।

(প্রথম প্রকাশ সামহোয়্যার ইন ব্লগ ২০০৬-০৬-১৫)

খেলতে যাবে ছোট্ট লরা



আমিনা বিত্থকাপ দেখে দেখে ঠিক কলেথি আমিও খেলতে দাব। তাই এখন থেকে খালি প্যাত্তিস আর প্যাত্তিস। প্যাকতিস থালা কিথু হয় বল? মেয়ে বলে তোমলা আমাকে আল আটকে লাখতে পালবে না। আমি একদিন থত্তি থত্তি বিত্থকাপ নিয়ে আসব, দেখো তোমলা।

(প্রথম প্রকাশ সামহোয়্যার ইন ব্লগ ২০০৬-০৬-১৫)

অপছন্দ - আমেরিকান বনাম বাংলাদেশী



গতসপ্তাহের আগের রবিবার আড্ডা বসেছিল এক বাঙ্গালী ভাইয়ের বাসায়। চলছিল মুড়ি-আচার-চানাচুর মাখা আর রুহ-আফজা। সেই সঙ্গে তুমুল আড্ডা। হঠাৎ আড্ডায় হাজির এক ভাইয়ার আমেরিকান বন্ধু জো (ধরুন) আর তার বন্ধু জ্যাক (ধরুন)। দুই বেটাই মহা আড্ডাবাজ। আগের পোস্টটাতেও লিখেছি এদের নিয়ে।

এই বিষয় সে বিষয় করে কথা হতে হতে তারা এক পযার্য়ে জিজ্ঞেস করল যদি তারা কখনও আমাদের দেশে যায় তাহলে কি কি কাজ তাদের করা উচিৎ হবে না। আমাদের নিষেধ গুলো ছিল:

১। ছেলেদের হাত ধরে, কাঁধ ধরে ঘুরতে পারেন, কিন্তু মেয়েদের সাথে অমনটি করা যাবে না।

২। বাম হাত দিয়ে কিছু দেয়া যাবে না।

৩। কাউকে ডিঙ্গিয়ে যাওয়া যাবে না।


তখন আমরা আবার জিজ্ঞেস করলাম আমাদের কি কি ব্যাপার তাদের কাছে খারাপ লাগে। তারা যেগুলো বলল সেগুলো সাধারন ভাবে ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের সবার উপর প্রযোজ্য হয়। ওদের যেগুলো পছন্দ হয়না:

১। ছেলেরা কাঁধে বা হাতে হাত রেখে চলা। গের পরিচয়।

২। স্কার্ট পরা মেয়েদের মত পায়ের উপর পা দিয়ে বসা। এটাও গের পরিচয়।

৩। গন্ধের ব্যাপারে আমেরিকানরা খুব সেনসিটিভ। গায়ের গন্ধ, মুখের গন্ধ এসব খুব বিরক্তির উদ্রেগ করে তাদের।

৪। প্রকাশ্যে নাক খোটানো, দাঁতে খাবার লেগে থাকা, ডাবল ডিপিং এধরনের হাইজিন বিষয়ক ব্যাপার গুলো খুব অফেন্ডিং।

৫। বডি সাউন্ড যেমন ঢেকুর তোলা, ফার্টিং এসব করা বিরক্তিকর। করলেও এক্সিউজমি বলে নিতে হবে।

৬। ভাল কোন খাবারের ক্ষেত্রে যেখানে চামচ ব্যবহার হচ্ছে সাধারন ভদ্রতা সেখানে হাত দিয়ে খাওয়া কাম্য নয়।

এই অভ্যাসগুলো কিন্তু এমনিতেও খারাপ। আমাদের আসলে অভ্যাস করা উচিৎ এই ধরনের অভ্যাস পরিত্যাগ করা।


(প্রথম প্রকাশ সামহোয়্যার ইন ব্লগ ২০০৬-০৬-১৩)