আমেরিকার কাল্লু সম্প্রদায়

আগেই বলে রাখি, এই পোস্টটা আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বায়াসড। সুতরাং সত্যিকারের বাস্তব অবস্থা থেকে আমার পর্যবেক্ষন অনেক ভিন্ন হতে পারে।
শোনা কথা। কাল্লুদের আমেরিকানরা ধরে এনেছিল ক্ষেত খামারের কাজ করার জন্য। তারপর তাদের মুক্তি দেয়া হয় একসময়। তারপর থেকে তারা আমেরিকার বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়লেও, তাদের বড় একাংশ এখনও দরিদ্র। ছোটখাট চৌর্য্যবৃত্তি থেকে শুরু করে বড় ধরনের অপরাধের সঙ্গেও তারা জড়িত। পড়ালেখা একদম করতে চায়না, ভীষন ধর্ম ভীরু, আর দুশবছর আগের সেই দাসত¡ প্রথার প্রতিশোধ তারা এখনও নিচ্ছে। সেদিনও খবরে দেখলাম টেক্সাসে এক কাল্লু নেতা এতদিন বলে এসেছে সাদা-কালো ভেদাভেদে স্কুল করা যাবে না। এখন বলছে কালোদের জন্য আলাদা স্কুল করতে হবে। এইরকম কন্ট্রাডিকটরী কথা বার্তা বলে কাল্লুরাই পার পায়।
গতকাল একটা পুরোনো গাড়ি কিনতে এক কাল্লুর সাথে যোগাযোগ করতে হল। আমরা গাড়ি দেখতে গেলে ১০ মিনিটের মাথায় গাড়ি ঠিক মতো দেখতে না দিয়েই চলে গেল। তারপর ফোনে দামাদামী। সে যা চাইছিল তার থেকে একচুল নড়বে না। আমি বললাম দেখ তোমাকে দেখে ভালই মনে হয়েছে...। সে বলে, "wait a minute, you don't know me. So don't say that. Come straight down to the deal."। শেষে দামাদামী করে বললাম আমি গাড়ির একটা দোকানে নিয়ে কিছু টেস্ট করে দেখব। সে তখন রাজি। কিন্তু যখন বিকেলে গেলাম তখন সে চ্যাঁ চ্যাঁ শুরু করল। প্রথমে বলে ক্যাশ নিয়ে আসছ? আমি বললাম, আমি প্রথমে গাড়ি টেস্ট করব। তারপর সব ঠিক হলে আংশিক টাকা দিয়ে যাব। সোমবার বাকি টাকা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাব। তখন বলে, 'আমি এখন আসতে পারব না। তোমাকে আমি গাড়ি দিতে পারব না এখন। আর আমি গাড়ি টেস্টের ব্যাপারে আগে শুনি নাই ....'
মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল। শালারা দুশো বছরেও মানুষ হয় নাই আর মানুষ হবে কবে?
(প্রথম প্রকাশ: সামহোয়্যারইন ব্লগ ২০০৬-০৭-১৬ ১৭:১৮:০৩)
- হযবরল বলেছেন :
২০০৬-০৭-১৭ ০০:০৭:০০
আসলে হয়েছে কি ওরা দাস হিসেবে কয়েকশো বছর থেকে এত বেশী শোষিত হয়েছে, যে ওরা এখন ও আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভোগে। ওদের পোষাক, কথা র্বাতা সব কিছুর মধ্য দিয়ে ওদের সেই ক্রাইসিস স্পষ্ট। ওরা খালি ওদের আইডেন্টিটি, আছে দেখাতে গিয়ে সবার কাছ থেকে আলাদা হওয়ার জন্য বিচিত্র কালারের কাপড়, কথা, গান এসব করছে। অশিক্ষা, অনাচার সব একই ধারাবাহিকতায় চলছে। এটা আসলেই দুঃখজনক পুরো একটা জাতি আত্মপরিচয় বিস্মৃত হয়ে কোন অবস্থায় যেতে পারে। - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৭-১৭ ০০:০৭:২০
আইডেন্টিটি ক্রাইসিস! যদি আমেরিকাতে থাকি আর আমাদের পোলাপান আমেরিকাতে বড় হয় তাহলে তারাও তো আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগবে। আমেরিকান র্বন কনফিউসড দেশী (এবিসিডি) কথাটাতো এমনি আসেনি। কিন্তু তাদের ব্যবহার কি এমনই হবে? ইনফেক্ট কিছুটা ওইরকম ক্রাইসিসে তো আমিও ভুগি - আমাকে যখন ইন্ডিয়ান হিসেবে আইডেন্টিফাই করে। আমি কি ব্যবহার খারাপ করি?
কি জানি? - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৭-১৭ ০০:০৭:১০
তোমাদের কথা ঠিক।
তবে ভালো ও আছে। তবে আমি এটা বুঝি না, নিজের ভালো নাকি পাগলে ও বুঝে। যেখানে শিক্ষার এতো সুযোগ আছে, ওরা কেন স্কুল কমপ্লিট করে না বুঝি না।
অধিকাং গরীব, দিন আনে দিন খায়, ব্যাংক লোন আর ক্রেডিট কার্ড লোন এ জর্জিরত। - হযবরল বলেছেন :
২০০৬-০৭-১৭ ০০:০৭:০৩
ওদের টা অনেক বড় ক্রাইসিস মনে রাখতে হবে। আমরা এখানে এসেছি ভিসা নিয়ে সম্মানের সাথে। ওদেরকে হাত পিছ মোড়া করে বেঁধে, জাহাজের খোলে করে নিয়ে আসতো। ওদের অনেক ফ্যামিলি আছে যারা চার-পাঁচ পুরুষ ধরে এই করুণ কাহিনী এক প্রজন্ম আরেক প্রজন্ম কে বলে যায় । ইহুদীদের মত ওদেরও রেসিয়াল মেমোরীতে এখন শুধু নীপিড়ন এর স্মৃতি। তুমি আলেক্স হেলির বইটা পড়ে দেখো পারলে।
সে তুলনায় আমরা কি অত বড় মাপের স্যাক্রিফাইস করে কি আসি এই দেশে? না। - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৭-১৭ ০০:০৭:১৬
ভাল কাল্লু আমি দেখেছি। শিক্ষিত, আমাদের মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ। কিন্তু সেও যখন আমাদের কাছে এসে রেসিজমের গল্প করে তখন অবাক হই। একটা গল্প সে প্রায়ই করে যে, সে কিভাবে একবার ভুল বুঝেছিল যে তাকে ছোট করছে একটা বাচ্চা মেয়ে।
আলেক্স হ্যালির বই পড়িনি। দেখি খুঁজে পাই কিনা। - হযবরল বলেছেন :
২০০৬-০৭-১৭ ০০:০৭:২৬
http://tinyurl.com/76ulu
এটা নিয়ে একটা বিখা্যাত সিরিয়াল ও হয়েছিল নাম কুইনি। বিটিভিও দেখিয়েছিল। - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৭-১৭ ০১:০৭:৫৩
হযবরল এর দেয়া সিরিয়ালটা এলেক্স হ্যালির 'রুটস' বই দ্্বারা অনুপ্রেনিত হয়েছে। সুযোগ পেলে অবশ্যই পড়বেন, আপনার ধারণা কিছুটা হলেও বদলাতে বাধ্য।
রুটসে শুধু একটা অংশ পড়লেই যথেষ্ট। আফ্রিকা থেকে ওদের পূর্ব প্রজন্মকে কি ভাবে আনা হয়েছে।
জাহাজের ডেকে, আলো বাতাসহীন বদ্ধ পরিবেশে, হাত পা শিকল দিয়ে বাধা অবস্থায়। পুরো দুই মাসের (টাইম স্প্যানটা মনে নেই ঠিক, ওরকমই) সময়ে কাপড় জামা ছাড়া থাকতে হয়েছে, কারণ কাপড় জামা ক্লিনিং প্রসেসটাকে জটিল করে। সপ্তাহ কয়েক পরে পরে ডেকে নিয়ে গিয়ে গায়ে সমুদ্রের জল ঢেলে দেয়া হত। ও, কারণে অকারণে চাবুক খেতে হত, তাই গায়ে দগদগে ঘায়ে লিটারেলি 'ছিল্লা কাইট্যা লবণ লাগানোর' মত কান্ড ছিল ওটা। তাছাড়া অন্ধকার ডেকে ইদুরের সাথে বসবাস করতে হত। খাবার দেয়া হত কয়েক দিন পর পর।
আসল কথা হল, ওদের যখন ধরে আনা হয়েছে, ওদের 'মানুষ' ভাবা হয় নি ইন দি ফার্স্ট প্লেস। বিবর্তনবাদের সত্যতা প্রমান করার জন্য আফ্রিকার একটা প্রজাতির (নাম মনে নেই, খুব সম্ভবত 'বান্টু)একটা লোককে ধরে আনা হয়। খাচায় ভরে মানুষকে দেখানো হত বানরের সাথে চেহারার মিল।
এই অমানবিক শোষিত আচরণের পরেও মার্টিন লুথার কিঙের মত নেতারা এসেছে, যাকে পুরো আমেরিকা মাথায় তুলে। ম্যালকম এক্স ওরফে মালেক শাহবাজের মত মানুষ পেয়েছে আমেরিকা। 'ওপরাহ' ও কাল্লু, নারী। তবে এত কালের দগদগে ঘা পুরোপুরি শুকোতে তো সময় লাগবে! - ঝরা পাতা বলেছেন :
২০০৬-০৭-১৭ ০২:০৭:২৪
কাল্লুর কথা পাড়লেই আঙ্কেল টমের কথা মনে পড়ে যায়। তবে এখানে এসে মানে সুইডেনে এসে বুঝলাম এই কাল্লুগুলা কম বদ না। যত আকাম কুকাম আছে সব এরাই করে। - হযবরল বলেছেন :
২০০৬-০৭-১৭ ০২:০৭:৫০
আস্তমেয়ে ঠিকই বলেছো , দুই মাসের ও বেশী সময় ধরে আনা হতো। আলেক্স হেলি নিজে জাহাজের খোল ভাড়া করে আফ্রিকা গিয়ে চেখে দেখে ছিলেন কি ভয়াবহ কষ্টকর অভিজ্ঞতা । - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৭-১৭ ০৩:০৭:৫০
এ ধরণের বহু ঘটনাই সাধারণ বাস্তব, যেমন সাদ্দুদের বেলায় তেমন কাল্লুদের বেলায়ও। (আপনার 'কাল্লু' বলার স্টাইলটা ভাল লাগেনি, তাই ব্যঙ্গটা আপনার জন্যই, সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকেপ্রাপ্ত গায়ের রঙ কালো হওয়া মানুষদের জন্য নয়)
কোন জাতিই পারে না খুব সহসাই তাদের ঐতিহ্য বা জাতিগত স্বভাবটাকে ভুলে যেতে, তা যত নিকৃষ্টই হোক না কেন। যেমন, আমরা বাংলাদেশীরা এখনো আমাদের রক্ত থেকে অন্যের গোলামী করার হীনতাকে মুছতে পারিনি। পৃথিবীর আর সব জাতিকে আমাদের একটা বিরাট অংশ এখনো অজান্তেই যেন মেনে নিচ্ছে নিজেদের প্রভূ, বিশেষ করে প্রবাসে, কাজে-কর্মে, কথায়-আচরণে।
আর অত্যাচারিত হলে সাদারা এর চেয়ে ঢের বেশী করতো; সন্দেহ নাই। - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৭-১৭ ০৭:০৭:৩৩
মুর্শেদ বেশী চেইতা গেছেন গা । একটু শান্ত হন । - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৭-১৭ ১০:০৭:৩৫
কালোরাতো মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি দখল করে আছে -হিপহপ, র্যাপ।
আমার মনে হয় জ্ঞান অর্জেন অনিহার কারনে ওদের মধ্যে এমন শুন্যতার সৃষ্টি হচ্ছে । পরিনাম কিন্তু ভাল হওয়ার কথা না । যেমন মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই শিক্ষিতের হার কম বলে সেখানে গোড়ামি সহজে ছড়িয়ে যেতে পারছে । - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৭-১৭ ১৩:০৭:২২
মুর্শেদ,
সাইকোলজির সম্প্রতি করা রিসার্চ থেকে দেখা যায় পৃথিবীর বিভিন্ন জাতির মধ্যে চিন্তা ভাবনা এবং মানসকিতার আসলেই বড় ধরনের ফারাক আছে।
যেমন একজন পশ্চিমা মানুষ (যেমন, ব্রিটিশ) এবং একজন পূর্বের মানুষ (মনে কর, চীন) এদের সাইকোলজিক্যাল প্যাটার্ন আসলেই ভিন্ন। কখনো কখনো আমরা বলি, সব মানুষ সমান .. কথাটা অন্য অর্থে ঠিক হলেও, সব জায়গায় না।
কালোদের এক ট্র্যাকে চিন্তা করার অভ্যাস আছে। যেটা করবে, সেই লাইনের বাইরে চিন্তা করতে পারে না। গোয়ার মার্কা একটা স্বভাব, একরোখা। যারা এডভানসড সাইকোলজি এবং ফেসিয়াল প্রোফাইল নিয়ে কাজ করে (এবং একই সাথে পামিস্ট্রি) তারাও বলতে পারবে যে কালোদের দৈহিক বৈশিষ্ট্য থেকেও এটা প্রতিফলিত হয়।
তাই ওদের এই স্বভাবের সাথে দাস থাকা না থাকার সম্পর্ক কম। আফ্রিকার হাজার বছরের মুক্ত একটা কালো মানুষের ভিতরেও ঐ একই ধরনের সাইকোলজিক্যাল প্রোফাইল বা প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যাবে, যারা কস্মিনকালেও দাসত্ব করে নি। - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৭-১৭ ১৩:০৭:০৩
আমার মনে হয় অভিজ্ঞতা খুব প্রধান একটা ফ্যাক্টার । মুডো যেমন হর্সপাওয়ার দিয়া সব জয় করতে চাইতো । - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৭-১৭ ১৪:০৭:৪৭
উহু, আমি সরাসরি অভিজ্ঞতা বলাকে ভুল বলবো।
একজন বাংলাদেশী আর একজন ভারতীয় (বিশেষ করে দক্ষিন ভারতীয়ের) চেহারা খুব ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন, বাংলাদেশীদের চেহারা ভিতরে একটা কোমল ভাব আছে। এই ফিচারটা একজন দক্ষিন ভারতীয় মধ্যে নাই।
এই দৈহিক ফিচারটা কিন্তু বাংলাদেশীদের কমন সাইকোলজিটাও প্রকাশ করে। সেটা হলো বাংলাদেশীরা মূলত ইমোশনাল। আমার পয়েন্টটা সেখানে ছিলো। মানুষের বিভিন্ন জাতির ভিতরে জন্মগত ভাবে কিছু ব্যাপার থাকে। বংশগত, জিন থেকে আসা হয়তো।
একজন এভারেজ চীনাদের চেহারায় খুব সহজে ধরা যায় এরকম এক ধরনের কাঠিন্য থাকে। সেটা নিদের্শ করে চীনারা খুব পরিশ্রমী। এইরকম ব্যাপার আরকি।
ফেইস রিডিং (অধিবিদ্যায় যাদের অরুচি আছে তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী) - এর দিক থেকেও ঘটনা সেরকমই। - হযবরল বলেছেন :
২০০৬-০৭-১৮ ২০:০৭:২৭
সাদিক এখানে এখন আফ্রিকা থেকে যেসব কাজল কালো ইমিগ্র্যান্ট আসে, তাদের ব্যবহার , আচার , ডিসেন্সি, পারস্পরিক সমঝোতা সব মিলিয়ে অসাধারণ। সত্যি বলতে ইউরোপিয়ানদের চাইতে অনেক ক্ষেত্রে ভালো মনে হয়েছে আমার।
রাশিয়ানরা গোঁয়ারের হদ্দ, এবং গেনজাইমা । সব কালো গোঁয়ার গোবিন্দ কথাটা মানতে পারলাম না।
মানুষের ভাষা থেকে শুরু করে সব কিছুই র্নিধারন হয়, তার বাস করার আবহাওয়া এবং যাপিত জীবনের ইতিহাস থেকে। আর যাপিত জীবন মানে হাজার বছর ধরে সে অভ্যাস, যে আচার, যে জীবন ধারণ।
দৈহিক গড়ন, মুখের গড়ন বা হাতের রেখা দিয়ে বংশগতির সূত্র মেলানো যায় । অনকে তথ্য উপাত্ত এক করে হাতের রেখার মিল থেকে ওদের মধ্যে মিল বের করা যায়। কিন্তু এভাবে মানস গঠন বের করা যায় না।
নোয়াখালী অনচলে নোয়াখাইল্যা ভাষা আছে অন্তত চার রকম। নোয়াখালী আর চট্টগ্রামের লোকের শারিরীক ভাবে এক , কিন্তু মানস গঠনে বিশাল তফাৎ আছে । কেন ? তাদের আবহাওয়া, ভূ প্রকৃতির মধ্যে
বিস্তর ব্যবধান ।
জিউস এখন এত মায়া দয়া হীন কেন ? তাদের হাজার বছরের জীবন শিক্ষা।
এখানে কালোরা নিজেদের
আত্ম পরিচয় ফিরে পাবার জন্য নিজেদের বলে আফ্রিকান- আমেরিকান। কেন ? তিনশ বছর ধরে , পাঁচ প্রজন্ম ধরে থাকার পরও কেন আমেরিকান বলে না? - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৭-১৮ ২০:০৭:৪৪
ফজলে বলার স্টাইল রেসিজমের ইন্ডিকেশন না। কেউ কাল্লু বলুক বা কাউল্যা বলুক কিংবা আফ্রিকান আমেরিকান বলুক কি যায় আসে।
আমি সাদাদের সাথে ডিল করেছি তেমনি কালোদের সাথেও করেছি। রীতিমত বিরক্ত হয়েই আমি এমনটা ভাবতে বাধ্য হয়েছি।
সে ব্যাটা আমাকে বলে তুমি পড়াশুনা করে কি করবা? কেমন যেন একটা তাচ্ছিল্যের ভাব। আমি একা ছিলাম না সেখানে, আমার আরেক বন্ধু ছিল। সেও একই রকম ফিল করেছে। - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৭-১৮ ২০:০৭:১৪
সাদিকের যুক্তির চেয়ে আমার হযবরলে যুক্তি বেশী গ্রহন যোগ্য মনে হয়েছে।
চাইনীজ নিয়ে যে কথাটা সাদিক বলেছে সেটার উদাহরন টেনেই দেখানো যায় এই ধারনাটা কতটা ভুল। চাইনীজরা বেশী খাটে কেননা তাদের দেশে এত প্রতিযোগীতা যে টিকে থাকতে হলে তাদের খাটতেই হয়। এখানে যে সমস্ত চাইনীজ বড় হয়েছে - অর্থাৎ চাইনীজ বাব মা কিন্তু আমেরিকাতে বেড়ে উঠেছে - তারা কিন্তু অতটা পরিশ্রমী না। - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৮-১৯ ১০:১৫:১১
আফ্রিকানরা গোয়ার আর তামিলদের চেয়ে বাঙালীর চেহাড়া কোমল এই অবজার্ভেশনগুলো কোন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারের - তার খোমা আর রিসার্চ পেপার একটু দেখা লাগবে - নইলে বোঝা যাইবে না সে আদৌ হোমিনিড গ্রোত্রভূক্ত কিনা! - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৮-১৯ ১০:১৯:৪৭
ঠিক কইছো সাদিক ভাইটু, আসলে চামড়ার দোষ, কাল্লুগো চেতনার মইধ্যেই একটা গোয়ার্তুমি ভাব আছে, ওরা একটা ট্রাকেই ভাবে,
চামড়া দিয়া সাইকোলজি মাপা যায়, হবেও বা মরমি গো ট্যাঁকে কত কি গোঁজা আছে, কত সব মিটার রইছে যেইগুলা দিয়া এইসব ওয়েভলেংথ, চরিত্র অপরাধ প্রবনতার হদিস লওয়া যায়।
তুমি সুফি মানুষ, তোমার ইশ্বর সাদা মাইনষের ইশ্বর, তাই কালো মানুষের পোন্দে বাঁশ দিয়া খাড়া করায়া রাখলেও তোমার সুশীল ভাবনায় সেইটা অশালীন হয় না। এই যে সব মানুষ সমান কইয়া একটা গোটা মহাদেশের মানুষরে একটা পয়সা দিয়া মাইপ্যা দিলা, এইটারে কি রেসিজমও এর আঁওতায় ফেলানো যায়? অবশ্য রেসিজম চেতনায় থাকলে সেইটা মানুষের কূপ্রকৃতিগুলারে উসকায়া দেয়, তুমি কইছো, তোমার কথাই তোমারে কইতাছি জ্ঞানী ও ভন্ড শেয়াল সুফী। - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ০৫:৩৩:৫৫
মানুষের কোর বিলিভ, সেমি কোর বিলিভ, ফেইথ কোনটাই সে জিনে নিয়ে জন্মায় না। বিশ্বাস না হলে ব্যাক টু দ্যা পাস্ট। জন্মের আগে নিজের রুট চেইঞ্জ করুন। কান্দুপট্ট্রির এক বেশ্যার পেটে ঢুকে পড়ুন। তার জয়ারু ছিড়ে বেড়িয়ে এসে দেখুন কোন বিশ্বাসের ধারক আপনি।
আফ্রিকানরা যেখানে এশিয়ানদের ভাবে ভোদাই; অলমোস্ট প্রত্যেকটা আফ্রিকানরা এশিয়ার কালারটাকে আনস্মার্ট মনে করে। তাতে কি যায় আসে? দ্যা ওয়ে ইউ হ্যাভ টু থিংক - দ্যাট হ্যাজ টু বি স্ম্যার্ট।
জিন থেকে বংশ পরম্পরায় যা এসে চেহাড়ায় আকড়ে থাকে - তা দিয়ে পরিশ্রমী আর ইমোশনালীটি বোঝার মত কমন থিউরী রাস্তার পাশের পামিস্টের মত হয়ে গেল।
যেখানে সমাজ, পরিবার, রাষ্ট্র ও প্রতিবেশ তার মধ্যে ধারণা পুষ্ট করে সব অনুভূতি বিকাশ ও প্রকাশের। ফুডিং হেভিট চেইঞ্জ করে দিন দেখবেন অনেক চাইনিজ খাঁটি বাঙালী হয়ে গেছে। - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ০৫:৫৩:১৯
হা হা হা। চেহারার থিওরীটা রূপকথার মত লাগল সত্যিই!
মানুষের "লার্নিং প্রসেস" অনেক জটিল। কিছু প্রবনতা হয়তো উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া, স্কিজোফ্রেনিয়া যেহেতু জীনের সমস্যা, বলতে পারেন এগ্রেসিভ বিহেভিয়রের মত বিহেভিয়রের অন্যান্য কিছু কিছু কম্পোনেন্ট অনেক সময় ইন বিলট হয়। কিন্তু এর সাথে গায়ের রং বা চেহারার কোন সম্পর্ক নেই। - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ০৫:৫৩:৫৭
বেশির ভাগই পরিবেশ থেকে পাওয়া... বেশির ভাগ! - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ০৭:৩৩:১১
হুম.
মুর্শেদের মূল পোষ্টে যেখানে কাল্লুদের দাসত্বপ্রথার উপরে একপেশে একটা দৃষ্টি ভঙ্গি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আমার মন্তব্য। আমার মন্তব্যে রেসিজমের ব্যাপার নাই।
বিবিসি রেডিওতে শোনা একটা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অঞ্চলের যেমন এশিয়ান ও ইউরোপিয়ানদের মানসিক প্যাটার্নের উপরে করা বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে পাওয়া একটা ধারনার কথাই এখানে বলতে চেয়েছিলাম।
সেখানে দীর্ঘ গবেষণায় দেখা গেছে আসলেই মানুষ যারা বিভিন্ন অঞ্চলের তাদের চিন্তার প্যাটার্ন ভিন্ন।
হযবরল, কালো বন্ধু আমারও আছে। ওরা ুযারা ভালো হয় তারা ক্লাসিক রকমের ভালো। কারনটা আবারও বললাম, কালোদের চিন্তা করার প্যাটার্নটা।
রাস্তার পাশের হস্তবিষারদদের মতো, অথবা রূপকথার মতো শোনালেও আই কান্ট হেল্প। কিন্তু কালপুরুষ খুব ভালো ভাবে ধরতে পারবে আমি কি মিন করছি যখন আমি বলবো, কালোদের হাতের গঠনটা যারা হাত দেখতে পারে এবং তা থেকে চিন্তার গঠন রিড করতে পারে তারা বুঝতে পারবেন।
যেহেতু এখানে কালপুরুষ একমাত্র সেইরকমম এক্সপার্ট সেহেতু আমারই ভুল হইছে ফেইস রিডিং বা হাতের প্যাটার্ন প্রসঙ্গ টেনে এনে। কারন সেই এসোটেরিক জ্ঞানটা এইখানে সবার নাই (আমারও নাই) বলে বাকিদের কাছে রূপকথা মনে হবে।
যারা বারবার বলছেন, মানুষের চেহারার সাথে আচরনের সম্পর্ক নাই, তাদের ফরেনসিক সায়েনস পড়তে বলবো (আমি নিজে বিশাল জেনে বসে নেই, তবে হালকা কৌতুহল ছিলো ফেইস রিডিং নিয়া) । - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ০৭:৪১:৪৩
ঠিক, কঠোর মানুষের চেহারায় কঠোরতা থাকে, তা ভাইটু এটা কোনো গেনেটিক গুন না, আমাদের আরোপিত ভাবনা, আমরা সবাই কঠোরের এক একটা রূপ নিজেদের ভেতরে তৈরি করে বসে আছি।
ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন তা বদলাতে পারবে না। অনেক নিষ্পাপ চেহারার মানুষ হাসিমুখে মানুষ জবাই করে, বলৎকার করে, তাদের চেহারা দেখে এই বিষয় বলা যাবে না, এই যে একটা জোর জবরদস্তিমূলক ধারনা আরোপনের চেষ্টা এটাকে ঠিক কোন শোভন শব্দে প্রকাশ করবো ভাইটু।
এটা কি তোমার ভাবমূর্তি উদ্ধার প্রকল্পের অংশ? তাহলে তুমি বি বিসি ভোয়া, ডিসকভারি বিভিন্ন চ্যানেলের বরাতে আরও কিছু জ্ঞানী উদ্ধৃতি দাও ভাইটু, আমার অনেক তিয়াস, জ্ঞানের তিয়াস,
তোমার হাতে জ্ঞানের কলস, উপুড় করে দাও ভাইটু, একটু শুদ্ধ হয়ে সেই সব নিষ্পাপ আর পাপী মুখের ফেস রিডিং শিখি। - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ০৭:৪৯:২১
রাসেলের মাথায় সেই 'চ' বিষয়ক গালাগালির পর থেকে নিজের ভাবমূর্তি নিয়া বড়ই পেরেসানি (শেষ পর্যন্ত গালাগালির পোস্টও মুইছা ফেলাইতে হইছে) । তাই কি বারবার ভাবমূর্তির কথা নিয়া আসতাছেন? আপনার অবচেতনে কি ইদানিং ভাবমূর্তি ঘোরাফেরা করে অশরীরিরি ছায়ার মতো।
আমি ভাইটু, অধিকাংশ সময়ে বেজায় নির্লিপ্ত মানুষ। নির্লিপ্তরা গালি খাইলে তেমন মাইন্ড করে না। কিন্তু তাদের বেশি গুতাইতে নাই। কারন তখন সমালোচনার ধারনটা একটু বেশি হয়।
ঘুরায়ে কইতে চাইলে কইতে পারেন, সবই আরোপিত ভাবনা। কুনু অসুবিধা নাই। বিবিসি ডিসকভারী তো খালি আমার নিজের সম্পত্তি না। ব্লগ বাদ দিয়া আপনি টিভি ছাইড়া দেখতে থাকেন। জ্ঞানের তিয়াস মিটান। আমি কেডা আপনারে জ্ঞানী উদ্ধৃতি গিলানোর? - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ০৮:০২:১৮
গবেষণা কি নিয়ে হচ্ছে সেটা আগে জানতে হবে। হাইপোথিসিসটা কি? অঞ্চলভিত্তিক মানষিক প্যাটার্ন ইউনিক হয়। এটার সাথে কালার, চেহাড়ার গঠন প্রসংগিভূত হয় কিভাবে! যে রেফারেনস দিচ্ছেন সে থেকে আর আপনার বক্তব্যের সাথে ফারাক আছে। আপনি সেটার ডালপালা বিসত্দার করে যা বলছেন তার গবেষণা এখনও জিরো/প্রাইমারী লেবেলে আছে। দুটো ভিন্ন জিনিস।
চেহাড়ার নির্দিষ্ট জাতিসত্তাতে যে আকৃতি সেটার সাথে আচরণ আর চেহাড়ার সাথে আচরণ দুটো ভিন্ন ডাইমেনশন। এখানে অঞ্চলবিশেষের চেহাড়ার সাজুয্যপূর্ণতার সাথে আচরণ নিরূপন নির্ধারণের গবেষণা হচ্ছে হোয়াইট ডমিনেনসী তৈরীর সেই প্রাগৈতিহাসিক ণৃ-বিজ্ঞানীয় এঙ্প্লোইটেশন। আমরা ভোদাই তাই লাফাই - কি গবেষণা! যথার্থ! নমো! নমো!
চাইনিজরা যে ক্যালেন্ডারে জন্মতত্ব সংখ্যা হবে 8, ইংরেজী ক্যালেন্ডারে সেটা হতে পারে 9। এবটু ভালভাবে পড়ে দেখেন যে বাংলা ক্যালেন্ডারের ব্যাপারে কোন মন্ত্র দেয়া আছে কিনা। হাতের রেখা ও চেহাড়ার রিডিং এ কত ধরণের ভ্যারিয়েশন আছে, বক্তব্য উপস্থাপনের? একটা ব্লেন্ড করে দেখেন - রিডিং কেউ খারাপ বলবে না! এ সবের সাথে অঞ্চলভিত্তিক বা কালারের সাথে আচরণের সম্পর্ক নির্ণয় যায় না এটা অন্য বিষয়।
যদি আপনি কালার ও অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসাবে এ বিচার করতে শুরু করেন, অফকোর্স রেসিজমের দোষে দুষ্ট। পশ্চিমারা তাই চায়। বিশ্বকে ধারণ করে তারপরে দেখতে থাকুন চিনত্দার বিস্তৃতি। যে এ হাইপোথিসি নিয়ে কাজ করছে তার সীমাবদ্ধতা কোন জা'গাতে - নিজে গবেষণা করার আগে সেই গবেষক নিয়ে গবেষণা করুন - পার্সপেক্টিভ অনেক ক্লিয়ার হয়ে যাবে! - হযবরল বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ০৮:০৩:৫৯
এই লিখা এতদিন পর আবার ভুস করে ভেসে উঠল কেন?
যাই হোক সাদিক আচরণ থেকে শুরু করে চিন্তা সব ভূপ্রকৃতি এবং বহুলাংশে বেড়ে উঠার উপর র্নিভর করে।
বাংলাদেশের চর অঞ্চলের লোক, পাহাড়ি অঞ্চলের লোক যেখানে আবাদী জমি কম সেখানকার লোক একটু এগ্রেসিভ এবং মার মার কাট কাট টাইপ। কারণ তাদের জীবনের প্রয়োজনে এটা হয়। কিন্তু যেখানে আবাদী জমি খুব ভাল সেখানে মার মার ভাবটা নেই। নোয়াখালী পানিতে ডুবে থাকে তাই মূলত এরা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত শ বছর ধরে, বাংলাদেশের মেজরিটি হুজুর নোয়াখালীর।
আপনি এখানকার কালোদের ভালো করে দেখুন তারপর বুঝবেন । এরা সেই দাসত্বের স্মৃতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজেদের ভাষা, পোষাক , স্টাইল , কালার , ফুড সব আলাদা করেছে। এর মূল কারণ ওদের রেসিয়াল মেমোরী ওদের জানায় যে দে আর স্টিল ডিপরাইভড এন্ড টরচারড। যদিও ওরা এখন সেরকম টরচারড না , টরচার আছের বাট লেস।
এটা খুব ক্লোজলি যদি বাংলাদেশের বস্তির মানুষ অবজারভ করেন বুঝবেন। ভীষণ নিরাপত্তহীনতা এবং মারজিনালাইজড ভিউ পেতে পেতে এরা বস্তির বাইরের লোক মানে শোষক ভাবে। সব শ্রেনীর ক্ষেত্রে এটা হয়। এগুলোই এদের করে তীব্র ধারালো, অধিকার প্রবণ এবং জেদী। এর সাথে ফেস এর সমর্্পক খোঁজা খুব হাস্যকর।
এটা ঠিক ফেস এর রিলেশান আছে অভিব্যক্তিতে। রাগ, দুঃখ , রোমান্স এই ধরণের সব অনুভূতির এক্সপ্রেশন জেনারলি সারা দুনিয়ার মানুষের একই। যেমন টক খেলে আমি , অমিতেশ , আস্ত, সাশা সবাই ভুরু দুটো কুঁচকে ফেলবে। আপনি এই ধরণের এক্সপ্রেশন বেইজড একটা ডিসিশনে যেতে পারেন । এমনকি সারা দুনিয়ার গোঁয়ারদের ফেস এক্সপ্রেশন একি । সেক্ষেত্রে কালোরা গোঁয়ার বিশেষায়িতভাবে কেমনে বুঝবেন ? - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ০৮:১১:২৮
উহু, কৌশিক এবং হযবরল,
কালো গোঁয়ার বললে বেশি সরলিকৃত হয়ে যাবে।
বলতে চাইছিলাম চিন্তার প্যাটার্ন নিয়ে।
এখন এইটাকে অঞ্চল বা পরিবেশে দীর্ঘদিন এক্সপোজ থাকার সাথে সম্পর্ক তৈরী করেও দেখানো সম্ভব।
স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশের লোকজন তুলনামলূকভাবে অসামাজিক। এই কারনে তারা মুখোমুখি যোগাযোগের চাইতে ফোন, ইমেইল বেশি ব্যবহার করে। নোকিয়ার মোবাইল ফোন মার্কেটিং গবেষনার ফলাফল। এখন আবার আমারে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রেসের প্রতি বিদ্্বেষ বলে এটাকে দেখলে তো মুশকিল।
এইভাবে প্রথমেই নেগেটিভ মনোভাব নিয়ে আসলে তো ভাই মতপ্রকাশ করাই মুশকিল।
যখন সুন্নী ডকট্রিনের ধর্মান্ধতার কথা বললাম, আমি হইলাম শিয়া প্রতিনিধি।
যখন গোঁড়া ধমর্ান্ধ অর্থডক্স স্কুল অফ থটের বাইরে মিস্টিক স্কুল অফ থটের কথা কইলাম তখন হইলাম ভন্ড শেয়াল সুফি।
যখন লেবাননে একজন মানুষ, একজন শিশুর কষ্ট দেখলাম; তখন শুনতে হইলো লেবানন আরেকজনের পেছনের ছিদ্র। আমি নাকি মানুষ না দেইখা মুসলিম ব্রাদারহুড দেখছি।
যখন আমি সুমনের এই পোস্টে কাল্লুদের বিরুদ্ধে দাসত্ব - এই মনোভঙ্গির পেছনে রেসের বা জাতিত্বত্ত্বের সাথে মানসিকতার মিলের পক্ষে মতামত দিলাম তখন হইলা রেসিস্ট।
দু:খজনক। মতের মিল না হইলে সেইটা নেগেটিভ লেবেল না দিয়েও বলা যায়। - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ০৮:১৪:৪২
দু:খিত কথাগুলো শুধু কৌশিক বা হযবরলকে নয়। ইন জেনারেল। ভুল না বুঝলে সুখি হই, যদিও আমার কিছু আসা যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু কেন যেন আসে যায়। বিচিত্র! - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ০৮:৩০:০৬
প্রবলেম তো হচ্ছে কোনটাকে রেসিজিম বা অফেনসিভ মনে করা বা বলা বা উপস্থাপনা বা ইংগিত সেটা। ব্লাকদের ব্লাক বলবে না তো তাদের কি হোয়াইট ব লবে? বিষয়টা এত সরলীকৃত নয়। কালোদের কালো বলে সন্বোধন করতে কোন অসুবিধা নাই - যদি এটাকে বক্তা ঘৃনা প্রকাশ অর্থে না বলতো!
কাজেই ব্লাক বলা একটা গালি। এটা কেউ বললে সে রেসিস্ট। আপনি যদি বলেন, ঠিকই তো বলেছি! সেটাতো হয় না।
যেখানে যে আচরণ দেখা যাচ্ছে - সেটাকে যখন আপনি ভিন্ন একটা কালচারের নিক্তিতে মেপে ভাল, উন্নত, গোয়ার, কোমল ইত্যাদি বিশেষণে ব্যাখ্যা করেন তখন প্রশ্ন ওঠে। আপনাকে সেখানের পার্সপেক্টিভ অনুযায়ী বিচার করতে হবে। আফ্রিকার গোয়ারদের জিজ্ঞাসা করুন - তোমার কাছে গোয়ার কাকে মনে হয়! আপনার চিন্তা হয়তো পুরোপুরি চেইঞ্জ করে দেবে তার উত্তর।
স্কান্ডেনেভিয়ানদের কে জিজ্ঞেস করুন কাকে মনে করো অসামাজিক? ব্যাখ্যা তাদের মতো করে তৈরী করবে? গবেষকদের কালচার অনুযায়ী নয়। - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ০৮:৪১:০১
সাদিক ভাবনা বোঝার চেষ্টা করো, খুব খুয়াল কইরা, মানুষ সম্পর্কে সাধারন কোনো মতবাদ দেওয়ার আগে হাইপোথিসিসের গ্রাউন্ডটা যাচাই করতে হয়, আর ভুংচুং ফেস রিডিং, হাতের রেখা এইসব মানুষের সার্বিক পরিচয় ধারন করে না, একেবারে সুফীসন্ত মানুষও পরিবেশের চাপে পড়ে ডাকাত খুনি হতে পারে তার হাতের রেখায় যতই লেখা থাকা উচ্ছশিক্ষইত হবে পরিবেশ না পেলে তা কখনই সম্ভব না, পরিবেশের প্রভাব ফেলে চেহারা দেখে ভবিষ্যতবানী, মানুষের চামড়া দেখে ভাবনা অনুসরন করে ফেলা, এইসব গু মুত পশ্চিমা কাকাদের ভাষ্য দিয়া খাওয়াইলেও কেউ খায় না, আমি একটা খাইতাছি না এমন না, আমি একা এই জায়গাটাকে ডিফাইন করতাছি না, সবাই তোমার বক্তব্যটাকে পুনর্বিবেচনা করতে কইতাছে, তার কারন তোমার ভাবনার অসামঞ্জস্যতা, এইটা নিয়ে যদি কও আমি কইছি তাই এইটাই শেষ কথা, আমি বুঝছি তাই নতুন বুঝার প্রয়োজন নাই, তাইলে তো ভাইটু বিপদ।
এইসব অশিক্ষিত মানুষের আচরন বহন করাটা কি তোমার ফেসিয়াল রিডিংএর ভাষ্য আসছে?? - হযবরল বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ০৮:৪২:০০
আমি বুঝি না এই যে নিউমেরোলজি নিয়ে কথা কইতাছেন, এটার বেইস কি ? ধরেন আমার জন্ম বাংলা 1, ইংরেজী 5 , হিজরি 7 , সম্রাট হুমায়ুনের ক্যালেন্ডারে 13। এখন আমারে কোন নম্বর দিয়া ডিফাইন করবেন ?
জন্মের ক্ষণে তারার অবস্থান থেকে শরীরে ম্যগনেটিক ফিলডের প্রভাব বলা যায়, কিন্তু এর বেশি বলাটা বুজরুকি , তেমনি সংখ্যা দিয়ে লোকের চরিত্র বলাটা আজগুবি। - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ০৮:৪৩:০০
কালপুরুষরে জিগাইতে পারেন আলাদা পোস্টে। আমি জানি না। - রাগ ইমন বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ০৮:৪৩:৫৩
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা
আইতাছি, একটু কাজ কইরা লই।
কৌশিকদা, এর পর যদি কন যে বাংলাদেশের জন্য ভাবার সময় নেট থাকে না, আপনার খোমা নতুন করে পড়ানো ব্যবস্থা করবো ..........কামিং সুন। অনেক কাজের কথা আছে। - অতিথি বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ০৮:৪৪:০৯
হযু এইটা বিজ্ঞান পিথোগোরাস ব্যাভার করতো, না কি আর্কিমিডিস, সাদিক ভাইটু কে জানি এইটার সূচনা করছে?? - রাগ ইমন বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ০৮:৫২:৩১
হযবরল,
তোমার লেখা যত পড়ছি, তত মুগ্ধ হচ্ছি।
এতটা চিন্তাশীল লেখা , আফসোস, আমাদের মনযোগ কম......ধৈর্য্য কম , রাগ বেশি.........যদিও রাগু আমার নাম।
ফ্যান্টাস্টিক বিশ্লেষনের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! - হযবরল বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ০৮:৫৭:৪৯
হাইজেনবারগ এর তত্ত্বতো বলেই যে স্থান এবং কাল একত্রে নিখুঁতভাবে কখনোই পরিমাপ করা যায় না। তার মানে প্রতিটা সেকেন্ড যে আমারা যাপন করি তার প্রতিটির অসীম
সম্ভাবনা , সো এইভাবে পর পর পাঁচ সেকেন্ড এর সব সম্ভাবনাগুলোর পারমুটেশন কম্বিনেশন করলে 5অসংখ্য * 5অসংখ্য সংখ্যক
সম্ভাবনা তৈরি হয়।
জ্যেতিষ শাস্ত্র না বলে যদি বলা হত সম্ভাবনা শাস্ত্র বলা হয় তবে সেটা অনেক ফিজিবল শোনায়।
ধরুণ রাসেলের সামনে 300 রকম বিভিন্ন বিষয়ের বই রাখা হল, ঠিক সন্ধা্য সাতটায় অফিস থেকে এসে উনি কোন বইটা হাতে নিবেন ?
মনে হতে পারে ওরে বাবা 300
সম্ভাবনা থেকে একটা। আসলে রাসেলের চয়েস এবং সময় সব বিবেচনা করলে অপশন নেমে আসে 8/10 টায় । কারণ একজন মানুষের পছন্দের বিষয় থাকে লিমিটেড, সারাদিন অফিস করার পর চয়েস হয়ে যায় আরো লিমিটেড । ফলে প্রেডিক্ট করা খুব জটিল কিছু না। এইটা সিম্পল বাতিল করণ প্রক্রিয়া দিয়ে সম্ভব, বলা যে উনি কোন বইটা পড়বেন। এজন্য কোন শাস্ত্র দরকার নেই। - রাগ ইমন বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ০৮:৫৯:৪৫
আলাদা করে একজনের কথা বলা বোধ হয় ঠিক হলো না......অবিচার.......পুরা বিতর্কটাই দারুন উপভোগ্য ।
দারুন লাগলো অনেকের বক্তব্যই ! তবে এই পোস্টে হযু বেস্ট , এখন পর্যন্ত , কইতে লজ্জা নাই!
(চামহাসি)
চালায়া যান! ব্রাভো!!! - রাগ ইমন বলেছেন :
২০০৬-০৮-২০ ১১:১৫:৩৮
ওমা!!! শেষ?
আফসোস..........